বাংলা হান্ট ডেস্ক: জীবনে যত হাসতে থাকবেন ততই আপনার সময় ভালো কাটবে, আনন্দে কাটবে। তবে সব সময় সুখ থাকবেন, আনন্দ থাকবেন তা তো হয় না। জীবন মানেই সুখ-দুঃখ, ভালো-খারাপ হাসি-কান্না এইসব মিলিয়ে। তবে সেই খারাপের মাঝেও আপনাকে ভালো থাকতে হবে। কারণ আপনার মন ভালো করার দায়িত্ব কেউ নিয়ে রাখেনি। তাই নিজের মন ভালো রাখার দায়িত্বটাও আপনি নিন। কিন্তু কিভাবে মন ভালো রাখবেন? তার জন্য আপনাকে ভালো রাখতে হবে হ্যাপি হরমোনকে (Hormone)।
ভালো রাখতে হবে হ্যাপি হরমোনকে (Hormone):
হ্যাপি হরমোন (Hormone) ভালো থাকলে আপনার মনও অনায়াসে ভালো থাকে। হ্যাপি হরমোনের (Hormone) ক্ষরণ বৃদ্ধি আপনার মনকে রাখবে ফুরফুরে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এই হ্যাপি হরমোন (Hormone) কি? কিভাবে কাজ করে আমাদের শরীরে। হ্যাপি হরমোনের মধ্যে পড়ে চারটি হরমোন। এগুলি হচ্ছে- ডোপামিন, সেরোটোনিন, অক্সিটোসিন এবং এন্ডোরফিন। এই চারটি হরমোন (Hormone) আপনার মন ভালো রাখাতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। আর এই হ্যাপি হরমোন বৃদ্ধির টিপস বলে দিয়েছেন খোদ বিশেষজ্ঞরা। এই টিপস গুলি মানলেই আপনার জীবনে মন খারাপ, রাগ, ঘৃণা, বিরক্তি, বিতৃষ্ণা কোনো কিছুই ধারে কাছে ঘেঁষবে না।
হ্যাপি হরমোন বৃদ্ধির জন্য কি কি করবেন দেখুন:
১) পছন্দের খাবার: ডোপামিন হরমোন (Hormone) বৃদ্ধির জন্য এই কাজটিই অবশ্যই করুন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, পছন্দের কোনো খাবার আমরা পেলে আমাদের শরীরে ডোপামিন হরমোন কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায়। যেমন বিরিয়ানি, ফুচকা, মোমো, ঠান্ডা জাতীয় যে খাবারগুলি খেলে আপনার মন ভালো হয়ে উঠবে সেগুলি খান। তবে হ্যাঁ অবশ্যই প্রতিদিন খাবেন না। নইলে ডোপামিন বৃদ্ধির পাশাপাশি স্বাস্থ্যের ক্ষতি বৃদ্ধি পেতে থাকে। চেষ্টা করুন সীমাবদ্ধতা মেপেই পছন্দের খাবার খাওয়ার। এতে মনও ভালো থাকবে, শরীরও ভালো থাকবে।
২) নিয়মিত শরীর চর্চা: প্রতিদিন শরীর চর্চার অভ্যেস রাখুন। যে শরীরচর্চা গুলি করলে আপনার মনে শান্তি আসে সেগুলি বেছে নিন। সকালের শুরুটা শরীর চর্চা দিয়ে করুন তাহলেই কাজে দেবে। এছাড়াও চেষ্টা করুন, জুম্বা ডান্স কিংবা যোগা করার। তাতেও আপনার হ্যাপি হরমোন ভালোভাবে কাজ করবে।
৩) রোদে থাকুন: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ মিনিট রোদে থাকলে সেরোটোনিন হরমোন (Hormone) বৃদ্ধি পায়। এই হরমোন আমাদের শরীরে থেকে উদ্বেগ এবং বিষন্নতা দূর করে দেয়। যার ফলে আপনার কোন কিছু নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা কিংবা ভয় কাজ করে না। পাশাপাশি যে কোন কাজের প্রতি মনোযোগ বাড়ে। তাই প্রতিদিন রোদে থাকাটা আবশ্যক। তবে সকালের রোদ গায়ে লাগান বেলার রোদ নয়।
আরও পড়ুনঃ বরাহনগর নাকি বরানগর? এর নামকরণ কি সত্যি শুয়োর থেকে, জানুন ইতিহাস!
৪) কাছের মানুষের স্পর্শ: শরীরে অক্সিটোসিন হরমোন ক্ষরণ হওয়াও প্রয়োজন। আর এক্ষেত্রে কাছের মানুষের আলিঙ্গন স্পর্শ সবচেয়ে বেশি কাজ করে। এটিকে ভালোবাসার হরমোনও (Hormone) বলা হয়। এই হরমোন সঠিকভাবে কাজ করলে মনে এক আলাদাই শান্তি বিরাজ করে। মানসিক শান্তি, সুখ অনুভব সবচেয়ে বেশি করা যায়।
৫) প্রকৃতির সাথে থাকা: দিনের কোন একটি সময় একটু গাছপালা কিংবা প্রকৃতির সঙ্গে কাটান। প্রকৃতি থেকে স্নিগ্ধ বাতাস আপনার মনকে শান্ত করে দেয়। এমনকি আপনার শরীরে সবরকম হরমোন ক্ষরণ সঠিকভাবে হয়।
আরও পড়ুনঃ জামিনের শুনানি শেষ! হাইকোর্টে আজও ‘প্রভাবশালী’ তত্ত্ব তুলল CBI, কবে জেল মুক্তি পার্থর?
৬) বিনোদন: জীবনের সবচেয়ে বেশি যেটি জরুরি সেটি হচ্ছে বিনোদন। এমন কোন সিনেমা কিংবা সিরিজ কিংবা ভিডিও দেখুন যেগুলি আপনার মনকে হাসাতে পারে। এতে করে শরীরে এন্ডোরফিন হরমোন (Hormone) বৃদ্ধি পায়। ফলে আপনার মন থেকে দুশ্চিন্তা, অবসাদ ইত্যাদি দূর করে, জীবনের সুখের আবির্ভাব ঘটায়।
৭) বই পড়ুন: মনকে শান্ত রাখার সব থেকে ভালো উপায় হচ্ছে বই পড়া। যত বেশি বই পড়বেন ততই আপনার ইতিবাচক মনোভাব বৃদ্ধি পাবে। ফলে নেগেটিভ চিন্তাভাবনা থেকে শুরু করে নেগেটিভ কার্যকলাপ আপনার উপর প্রভাব ফেলতে পারে না। তাই অবশ্যই বই পড়ার অভ্যেস করুন।
আরও পড়ুনঃ বয়স মাত্র ৩১, যুক্ত ছিলেন KKR-এর সাথেও! IPL-এর আগে আচমকাই অবসর নিয়ে ফেললেন এই খেলোয়াড়
এছাড়াও চেষ্টা করুন মনকে শান্ত রাখার জন্য কাছের মানুষের সাথে সময় কাটানোর, বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাওয়া, খাবারের প্রতি বিশেষ সচেতনতা অবলম্বন করা ইত্যাদি। এই কাজগুলি আপনার জীবনে হ্যাপি হরমোন (Hormone) ক্ষরণে সাহায্য করে। আজ থেকে নিজের নিত্যদিনের তালিকায় এই টিপসগুলি যুক্ত করে নিন।