বাংলাহান্ট ডেস্কঃ তিরুপতি (tirupati) মন্দির ভারতের (india) অন্যতম প্রধান ধর্মীয় স্থান। প্রতিবছর কয়েক কোটি হিন্দু পুন্যার্থী এই মন্দিরে বালাজির ( balaji) দর্শনে আসেন৷ কিন্তু লকডাউনে বন্ধ ভারতের অন্যতম সমৃদ্ধশালী এই মন্দির। এই পরিস্থিতিতে ভক্তদের কাছে বালাজির প্রসাদ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ।
শ্রী ভেঙ্কটেশ্বরা মন্দিরের পরিচালনা কমিটি তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানাম (টিটিডি) অন্ধ্রপ্রদেশের প্রতিটি জেলায় এই প্রসাদ ভক্তদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন। কার্যালয়ে গিয়ে ভক্তরা এই প্রসাদ সংগ্রহ করতে পারবে। পাশাপাশি অনলাইনে অর্ডারের ব্যবস্থাও। তবে তাও সংগ্রহ করতে হবে টিটিডি কার্যালয় থেকেই। ভক্তদের অনুরোধেই করোনা পরিস্থিতিতে প্রসাদ পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
ভক্তদের মধ্যেও এই প্রসাদের ভালোই চাহিদা রয়েছে। প্রথম দিনেই অন্ধ্রপ্রদেশের টিটিডি কার্লায়গুলি থেকে ২.৪ লক্ষ টাকার লাড্ডু প্রসাদ বিক্রি করা হয়েছে। লাড্ডু বিক্রিতে পাওয়া যাচ্ছে ছাড়ও। প্রায় ৫০ শতাংশ ছাড়ে ৫০ টাকার লাড্ডু ২৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে বলে খবর। অন্ধ্রপ্রদেশ ছাড়াও লাড্ডু মিলছে চেন্নাই, বেঙ্গালুরু ও হায়দরাবাদেও।
বেঙ্কটেশ্বর মন্দির হল ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের চিত্তুর জেলার অন্তর্গত তিরুপতির তিরুমালা শৈলশহরে অবস্থিত একটি অন্যতম প্রধান বিষ্ণু মন্দির। এই মন্দিরের প্রধান উপাস্য দেবতা হলেন হিন্দু দেবতা বিষ্ণুর অবতার বেঙ্কটেশ্বর। তিরুমালা বেঙ্কটেশ্বর মন্দির তিরুপতি মন্দির, তিরুমালা মন্দির ও তিরুপতি বালাজি মন্দির নামেও পরিচিত। হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে, কলিযুগের দুঃখ ও যন্ত্রণা থেকে মানব সমাজকে ত্রাণ করতে বিষ্ণু তিরুমালায় ‘বেঙ্কটেশ্বর’ রূপে অবতীর্ণ হয়েছেন। এই জন্য এই মন্দিরটিকে ‘কলিযুগ বৈকুণ্ঠম্’ বলা হয় এবং বেঙ্কটেশ্বরকে বলা হয় ‘কলিযুগ প্রত্যক্ষ দৈবতম্’ (কলিযুগের প্রত্যক্ষ দেবতা)। বেঙ্কটেশ্বর ‘বালাজি’, ‘গোবিন্দ’ ও ‘শ্রীনিবাস’ নামেও পরিচিত।