বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উত্তর পূর্বের রাজ্য ত্রিপুরার (Tripura) দোরগোড়ায় বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election)। হাতে গোনা কিছুদিনের সময় মাত্র। জোর কদমে চলছে ভোট প্রচার। গতকাল ভোটমুখী ত্রিপুরায় মেগা প্রচারের উদ্দেশে পৌঁছেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। মঙ্গলবার সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার লম্বা রোড শো করল ঘাসফুল। আর তাতেই দেখা গেল কাতারে কাতারে মানুষ।
এদিন ত্রিপুরার কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হলেন তৃণমূলের (Trinamool) রোড শো তে। প্রসঙ্গত, তৃণমূল ত্রিপুরার রাজনীতিতে পা রেখেছে একবছর মাত্র। এই স্বল্প সময়ের মধ্যেই এদিন বিপুল জনজোয়ার দেখে উচ্ছাসিত ঘাসফুল শিবির। ‘ঘাসের উপর জোড়াফুল, ত্রিপুরা বাঁচাবে তৃণমূল।’ এই স্লোগানেই ধ্বনিত হল ত্রিপুরার মাটি।
এদিনের রোড শো তে যোগ দিয়ে তৃণমূল সেকেন্ড ইন কমান্ডো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘যারা আজ মিছিলে হাঁটলেন তারা ভোট দিলেই ত্রিপুরা থেকে উৎখাত হয়ে যাবে বিজেপি।’ পাশাপাশি এদিনের জনসভায় অভিষেক ডবল ইঞ্জিন সরকারের তত্ত্ব পালটে সিঙ্গল ইঞ্জিন সরকারের কথা উল্লেখ করে বলেন, “ডবল ইঞ্জিনের একটা ইঞ্জিন সিবিআই , একটা ইঞ্জিন ইডি। এখানে রাজ্যও চুরি করবে, কেন্দ্রও চুরি করবে। কেউ কাউকে ধরবে না।”
এরপর বিরোধীদের তোপ দেগে অভিষেক বলেন, “প্রায় ২৫ বছর ত্রিপুরা সিপিএমের অপশাসন দেখেছে। বাংলা এবং ত্রিপুরা দুটি রাজ্যকে ধ্বংসাবশেষ করে দিয়েছে বামেরা। সিপিএমের সেই হার্মাদরাই আজ বিজেপির জল্লাদ।” তার সংযোজন, বিজেপির শাসনে আর্থিক দিক থেকে রাজ্য বিপর্যস্ত, এই অবস্থায় অর্থনৈতিক উন্নয়ন কোনোভাবেই সম্ভব নয়। একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই পারবেন রাজ্যে পদ্ম শিবিরে চক্রব্যুহ ভেদ করতে।
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় ‘বাংলা মডেল’-এর কথা আগেই ঘোষণা করেছে দল। গত রবিবার ইস্তেহার প্রকাশ করে সেখানে উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলা মডেল স্থাপিত হবে বলে জানিয়েছে দল। গতকাল দুদিনের সফরে রাজ্যে পা রেখেই ত্রিপুরাকে নিজের দ্বিতীয় ঘর বলেন নেত্রী। তার মন্তব্য, “ত্রিপুরা আমার ঘরের মতো। বাংলা যদি আমার প্রথম ঘর হয় তাহলে ত্রিপুরা আমার দ্বিতীয় ঘর।”