বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ফের ঘাটাল কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়েছেন দেব (TMC Candidate Dev)। দু’বারের জয়ী সাংসদের ওপর এবারও আস্থা রেখে জোড়াফুল শিবির। ইতিমধ্যেই জোরকদমে ভোটপ্রচার (Lok Sabha Election) শুরু করে দিয়েছেন জোড়াফুল প্রার্থী। এবার নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েই গ্রামের বাসিন্দাদের দাবিদাওয়া শুনলেন তিনি।
দেব (Dev) গ্রামে এসেছে শুনেই শিলাবতীর ওপর অস্থায়ী সেতু তৈরির দাবি তোলেন গ্রামের শিশু থেকে শুরু করে মহিলারা। অনেকে আবার প্ল্যাকার্ড হাতে তৃণমূল প্রার্থীর সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন। উল্লেখ্য, ঘাটাল এবং দাসপুরের মাঝ দিয়ে বসে গিয়েছে শিলাবতী নদী। নদীর দু’দিকে থাকা একাধিক গ্রামকে জুড়েছে বাঁশের একটি সাঁকো। সেটিকেই এবার কংক্রিটের সেতু করে দেওয়ার দাবি জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
এমনিতেই বন্যার সময় ঘাটালের (Ghatal) অবস্থা কেমন তা কমবেশি সকলেই জানেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সেই সময়ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে হয় তাঁদের। ঘাটাল এবং দাসপুরের নদী তীরবর্তী বিদ্যালয়ে পাঠরত অনেক পড়ুয়াকে এই সাঁকো দিয়েই চলাচল করতে হয়।
আরও পড়ুনঃ রাতের অন্ধকারে ছেঁড়া হল দেবাংশুর…! নেপথ্যে কে? ভোটের মুখে তোলপাড় নন্দীগ্রাম
এদিন শিলাবতী নদীর ওপর থাকা এই বাঁশের সাঁকো পেরিয়েই নির্বাচনী প্রচারে আসছিলেন দেব। দাসপুর আসছিলেন তৃণমূল (Trinamool Congress) প্রার্থী। সেই সময়ই নিজেদের সকল দাবিদাওয়া তাঁকে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। রসিকগঞ্জ বিদ্যাসাগর উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়েছিল। সেই সঙ্গেই হাজির ছিলেন দুই গ্রামের বাসিন্দারাও। দেব তাঁদের কথা শোনার পর বীরসিংহ ডেভেলপমেন্ট অথরিটির বৈঠকে আলোচনা করবেন বলে জানান।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে সিনেমার কাজ ছেড়ে পুরোপুরি প্রচার কাজ নিয়ে ব্যস্ত দেব। ঘাটাল জুড়ে প্রচার করছেন জোড়াফুল প্রার্থী। যদিও এবারের ভোটে না দাঁড়ানোর কথা ভেবেছিলেন তিনি। দেব নিজেই বলেছিলেন, ‘এবার ভোটে দাঁড়াব না ভেবেছিলাম। তবে দিদির কথায়, দিদির প্রস্তাবে ফের রাজি হয়ে গেলাম’।
দেব জানান, প্রতি বছর বন্যা এলেই ঘাটাল ডুবে যায়। তবে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দিয়েছেন যে রাজ্য সরকার ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ করবে। ঘাটালবাসীর কথা ভেবে তাই ফের একবার ভোট ময়দানে নেমে পড়েন বলে জানান তিনি।