বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে আরেক দল সরব হতেই পারে। যেমন কিছুদিন আগে নন্দীগ্রামের আসন থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনোনয়ন বাতিল করার দাবি জানিয়েছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু কমিশনের ওনার অভিযোগ খারিজ হয়ে যায়। শুভেন্দুবাবু অভিযোগ করেছিলেন যে, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চলা ফৌজদারি মামলার কথা তিনি হলফনামায় গোপন করেছেন। এমনকি ওনার বিরুদ্ধে সিবিআই-এর একটি মামলা চলছে বলেও জানিয়েছিলেন শুভেন্দুবাবু।
শুভেন্দু অধিকারীর দাবির পর রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়। এরপরই সিবিআই-এর তরফ থেকে জানানো হয় যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের আছে ঠিকই, কিন্তু অভিযুক্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলাদা ব্যক্তি। অভিযুক্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন সরকারি কর্মীর স্ত্রী। এরপরই শুভেন্দু অধিকারীর দাবি খারিজ হয়ে যায়।
তবে এবার নতুন করে আরও এক তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়ন খারিজ করার দাবি উঠেছে। তবে এবার কোনও রাজনৈতিক দল থেকে নয়, এবার তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়নের খারিজ করার দাবি জানিয়েছেন স্বয়ং প্রার্থীর স্ত্রী। তৃণমূল প্রার্থীর স্ত্রী জানিয়েছেন, ওনার স্বামী হলফনামায় দ্বিতীয় বিয়ে করার তথ্য গোপন করেছেন। আর এই অভিযোগেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরির তৃণমূল প্রার্থী পার্থপ্রতিম দাসের স্ত্রী।
পার্থপ্রতিমবাবুর স্ত্রী লিপিকা দাস অভিযোগ করে বলেছেন যে, ওনাদের দুজনের মধ্যে বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলা চলছে। সেই মামলার এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। আর মামলা নিষ্পত্তির আগেই ওনার স্বামী পার্থপ্রতিম দাস আরেকটি বিয়ে করেছেন যেটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। লিপিকাদেবী এও জানান যে, পার্থপ্রতিমবাবু ওনার দ্বিতীয় বিয়ের কথা হলফনামায় গোপন করেছেন। আর এই অভিযোগ নিয়েই এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন লিপিকা দাস।
এছাড়াও লিপিকা দাস অভিযোগ করে বলেছেন যে, প্রার্থী পার্থপ্রতিম দাস নিজের সম্পত্তির পরিমাণ সঠিক জানান নি। এছাড়াও পার্থপ্রতিম দাসের উপর কে কে নির্ভরশীল সে কথাও হলফনামায় জানান নি তিনি। লিপিকাদেবী অভিযোগ করে বলেছেন, ওনার স্বামীর একটি বাইকও আছে, সেটাও তিনি নিজের হলফনামায় জানান নি। প্রসঙ্গত, একই অভিযোগ নিয়ে লিপিকাদেবী এর আগে কমিসনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন, কিন্তু সেখানে তিনি সুবিচার না পাওয়ার ফলে উনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।