বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote) পূর্বে ফের প্রকাশ্যে শাসকদলের দ্বন্দ্ব। এবার ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে সামনে এল তৃণমূলের (Trinamool) গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ভাঙড়ে (Bhangar) শাসকদলের নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন দলেরই একাংশ। ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
কী জানা যাচ্ছে? দক্ষিণ ২৪ পরগণা ডায়মন্ডহারবার যাদবপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগে সরব দলেরই নেতা কর্মীরা। সেখানের স্থানীয় তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম ও রেজাউল করিম গোষ্ঠীর গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে সূত্রের খবর। ‘দলের মধ্যে বিভাজন করছেন শুভাশিস চক্রবর্তী’, এমনই দাবি দলের কর্মীদের। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ‘দিদির দূত’ কর্মসূচির সূচনা ছিল ভাঙড়ের হাজারা কালী মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে। তবে কর্মসূচি শুরু হতে না হতেই প্রকাশ্যে আসে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।
জানা গিয়েছে, এদিন আরাবুল ইসলামকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন শুভাশিস চক্রবর্তী। এরপরেই ঘটে বিপত্তি। ভাঙড় বিধানসভা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম-রহিম মোল্লা সহ আরাবুল বিরোধী গোষ্ঠীর কর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁর বিরুদ্ধে। মন্দির প্রাঙ্গণে বসেই তাঁরা জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
ঘটনা প্রসঙ্গে যুব তৃণমূল কংগ্রেস নেতা রশিদ মোল্লার অভিযোগ, “শুভাশিস চক্রবর্তী লবি বাঁধিয়ে দিচ্ছেন, রেজাউল করিমকে না নিয়েই কর্মসূচিতে চলে যাচ্ছেন। একজনই লবিবাজি করছেন শুভাশিস চক্রবর্তী। কর্মসূচিতে ওঁর কোনও ভূমিকা নেয়। উপর নেতৃত্ব যা নির্দেশ দেবে সেই ভাবেই আমরা কর্মসূচি পালন করি। আমাদের মধ্যে কোন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। যাঁরা বলছেন, তাঁরা পার্টির কেউ নন।”
অন্যদিকে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে শুভাশিস চক্রবর্তীর সাফাই ,“আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষই দলের রূপরেখা নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু কে এল না গেল, তা নিয়ে মাথাব্যথার কারণ নেই। এটা তো আমার কর্মসূচি নয়, দলের।”
পাশাপাশি, তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম বলেন, “জেলার সভাপতি যে নির্দেশ দিয়েছেন, সেই নির্দেশই পালন করছি। এই প্রোগ্রামটা করার দায়িত্ব আমাদের দেওয়া হয়েছে। তাই করছি। কারা রাগ করে বসে থাকল, সেটা তাদের ব্যাপার। আমরা চাই দলের একটা সুন্দর রূপরেখা তৈরি করে আগামী দিনে পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়ব।”