খাস কলকাতায় তৃণমূলের কাউন্সিলরকে বেদম মার নির্দল সমর্থকদের! উত্তপ্ত পরিস্থিতি

বাংলাহান্ট ডেস্ক : নববর্ষে কার্যতই রণক্ষেত্রে পরিণত হল বৌবাজার। রাস্তার মধ্যেই বেধড়ক মারধর করা হল ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মহম্মদ জসিমুদ্দিনকে। ওই তৃণমূল নেতার অভিযোগ ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর আয়েষা কানিজের দলবলই হামলা চালিয়েছে তাঁর উপর। যদিও সমস্ত অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছেন ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওই কাউন্সিলর। পুরো ঘটনায় এখনও অবধি মোট ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বৌবাজার থানার পুলিশ।

জানা যাচ্ছে শুক্রবার স্কুটার নিয়ে জাকারিয়া স্ট্রিটে যাচ্ছিলেন প্রহৃত কাউন্সিলরের ভাই। সেই সময়ই নীরজ নামের এক ব্যক্তিকে ধাক্কা দেন তিনি। সেই বচসা এতদূর গড়ায় যে তা অচিরেই হাতাহাতির রূপ নেয়। এই অবস্থায় প্রাণপণ দৌড়ে একটি বাড়িতে ঢুকে প্রাণভয়ে দাদা জসিমুদ্দিনকে ফোন করেন তিনি। ভাইয়ের ফোন পেয়ে প্রথমে বৌবাজার থানায় জানালেও তারপর নিজের অনুগামীদের নিয়ে এলাকায় হাজির হন জসিমুদ্দিন। তারপর আরও বেশি রকম উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।

ওই কাউন্সিলরের অভিযোগ, ঘটনাস্থলে পৌঁছানো মাত্রই দেড়শো দুশো জন ঘিরে ধরে তাঁকে। কাবাব বানানোর রড, বাঁশের লাঠি, হকি স্টিক সমস্ত কিছু দিয়েই বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁর উপর। চলে প্রবল ধস্তাধস্তি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কোনও মতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে বৌবাজার থানার পুলিশ। আটক করা হয় ৭ জনকে।

৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জসিমুদ্দিন সমস্ত ঘটনার দায় চাপিয়েছেন ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর আয়েষা কানিজের অনুগামীদের উপর। যদিও সেই অভিযোগ সম্পুর্ণ অস্বীকার করেছেন আয়েষা এবং তাঁর স্বামী ইরফান আলি তাজ। তাঁদের পালটা অভিযোগ জসিমুদ্দিনের ঘনিষ্ঠরাই পুরো কান্ডটি ঘটিয়েছে। ইরফান বলেন, ‘জসিম ভাইয়ের সঙ্গে কোনও বিবাদ নেই। উনি কেন এসেছিলেন কথা বলে জানতে হবে। আসলে দুটি ছেলের ঝামেলা থেকে বিষয়টা হয়েছে।’ ঘটনার জেরে এখনও চাপা উত্তেজনা রয়েছে গোটা এলাকায়।


Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর