বাংলা হান্ট ডেস্ক : এবার বিজেপি (BJP) বিধায়কদের বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীতের (National Anthem) অবমাননার অভিযোগে সুর চড়াল তৃণমূল (Trinamool)। বিধানসভা চত্বরে দাঁড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা করেছেন বিজেপি বিধয়করা। এই মর্মে হেয়ার স্ট্রিট থানার দ্বারস্থ হলেন বিধানসভার পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, তৃণমূলের উপমুখ্যসচেতক তাপস রায়। পাশাপাশি চিঠিও পৌঁছে গেছে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে।
বিজেপির ১২ জন বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয় থানায়
উল্লেখ্য, পত্রবোমা পাওয়া মাত্রই বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে কড়া নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিধানসভার স্পিকার। তিনি জানিয়েছিলেন, প্রশাসনিক স্তরে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবং এই ঘটনার পরপরই বৃহস্পতিবার শুভেন্দু সহ বিজেপির ১২ জন বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয় থানায়। যদিও গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য, স্রেফ রাজনীতির করার জন্য এই ধরনের অভিযোগ করছে তৃণমূল।
অভিযোগে ভুল রয়েছে বলে দাবি শুভেন্দুর
ওদিকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ওই অভিযোগে একাধিক ভুল রয়েছে, তবে “অভিযোগের জবাব আদালতেই দেওয়া হবে।” তিনি বলেন, যে ১২ জনের নামে অভিযোগ রয়েছে তারমধ্যে রয়েছে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিধায়ক শোভন কাঞ্জিলালের নাম, আবার শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউরির নাম চন্দ্রানী লেখা হয়েছে। আবার হিরণ নাকি উপস্থিতই ছিলেননা ঐদিন। অথচ তারও নাম দেওয়া হয়েছে তাতে।
আরও পড়ুন : ভুলে যান শুশুনিয়া-বিষ্ণুপুর, নামমাত্র খরচে ঘুরে আসুন বাঁকুড়ার এই অফবিট থেকে, মিলবে স্বর্গীয় সুখ
কী ঘটেছিল সেদিন?
উল্লেখ্য, অমিত শাহের (Amit Shah) শাহি সভার দিন বিধানসভা চত্বরে ধর্না দিচ্ছিলেন শাসকদলের বিধায়করা। সেইসময় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) যখন জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার কথা বলে তখন নাকি শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে বিজেপির বিধায়কেরা ‘চোর চোর’ বলে স্লোগান দিয়ে ওঠেন। জাতীয় সঙ্গীতের সম্মান রক্ষার্থে আসন ছেড়ে উঠেও দাঁড়াননি বলে অভিযোগ। যদিও পদ্ম শিবিরের দাবি, তারা জাতীয় সঙ্গীত শুনতেই পাননি।
আরও পড়ুন : পাখির চোখ অরুণাচল, চিনকে শিক্ষা দিতে মহা প্ল্যান ভারতের! বিনিয়োগ হচ্ছে ১.৪ লক্ষ কোটি টাকা
কী বললেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়?
এই প্রসঙ্গে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওরা জাতীয় সঙ্গীত শুনতে পেয়েছেন কি পাননি, তা আমার জানার কথা নয়। ওরা যা করেছেন, এ ব্যাপারে প্রশাসনিকস্তরে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ এই ঘটনার পরেই থানা অবধি পৌঁছে যায় বিষয়টা। উল্লেখ্য এইদিন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও মুখ খুলেছেন এই বিষয়ে। তিনি বলেন, ‘‘জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। আশা করব, এ ব্যাপারে আইন আইনের পথে চলে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ করবে।”