বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ক্রমশ জাতীয় স্তরে শক্তি বাড়ানোর লক্ষ্যে রয়েছে তৃণমূল (tmc)। সেই মর্মে টার্গেট রয়েছে ত্রিপুরা, অসম, গোয়া, মেঘালয়, হরিয়ানার (haryana) উপর। ইতিমধ্যেই ত্রিপুরা এবং গোয়ায় বেশকিছুটা প্রভাব বিস্তারে সক্ষম হয়েছে সবুজ শিবির। এবারের টার্গেট হরিয়ানা। দায়িত্ব দেওয়া হল সুখেন্দুশেখর রায়ের (sukhendushekhar roy) উপর।
২০১১ সাল থেকে তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন সুখেন্দুশেখর রায়। বর্তমান সময়ে দলের রাজ্যসভার উপদলনেতাও তিনি। বৃহস্পতিবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তি করে জানানো হয়েছে, হরিয়ানার সংগঠন দেখভালের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হচ্ছে সুখেন্দুশেখর রায়ের উপর।
সম্প্রতি বিতর্কিত ৩ কৃষি আইন বাতিল ঘোষণা করে কেন্দ্র সরকার। দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ক্ষমা চেয়ে, এই কৃষি আইন বাতিল ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর এরপর থেকেই খুশির হাওয়া বয়ে যায় কৃষকদের মধ্যে। জয় হয় কৃষকদের। তাঁদেরকে অনুরোধ করা হয় দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর ধরে করা আন্দোলন তুলে নেওয়ার জন্য।
এদিকে আবার বুধবার দিল্লীতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা তথা হরিয়ানার নেতা অশোক তনওয়ার। আর এই হরিয়ানার দায়িত্বই সুখেন্দুশেখর রায়ের হাতে তুলে দিল তৃণমূল। ধারণা করা হচ্ছে, এর ফলে সেখানে সবুজ শিবিরের ঘাঁটি আরও শক্ত হতে চলেছে।
প্রসঙ্গত, বাংলার ক্ষমতায় তিনবার আসার পর থেকেই দিল্লী জয়ের স্বপ্নে বিভোর তৃণমূল শিবির। সেই লক্ষ্যে বাংলা ছাড়াও বিভিন্ন রাজ্যে নিজেদের শক্ত ঠাই তৈরি করতে চাইছে মমতা বাহিনী। ইতিমধ্যেই ত্রিপুরার পুরভোটে অংশ নিয়েছে তৃণমূল। ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছে নিজেদের লক্ষ্যে।