বাংলা হান্ট ডেস্ক : সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে দুটি কক্ষে পাস হয়েছে তার পর রাষ্ট্রপতি অনুমোদন পাওয়ার পর অবশেষে আইনে পরিণত হয়েছেন। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন আসবার পর থেকে অন্যান্য বিরোধী দল করের মতো তৃণমূল প্রতিবাদ জানিয়েছিল। এমনকী রাজ্যে তৃণমূলের তরফে তিন দিন ব্যাপী প্রতিবাদ পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যেই এ বার তৃণমূল ও মতুয়া মহাসঙ্ঘের অন্তর্কলহ সকলের প্রকাশ্যে এল।
সোমবার ডক্টর বিআর আম্বেদকরের পাদদেশ থেকেই জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি অবধি যে রথযাত্রার আয়োজন করেছিল শাসক শিবির, তারপর মঙ্গলবার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে মতুয়া সংঘের নাম নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে বসে তৃণমূল আর তাতেই কার্যত ক্ষিপ্ত হয়েছে মতুয়া মহাসঙ্ঘ। ইতিমধ্যেই এই অবস্থান বিক্ষোভের সঙ্গে মতো আর কোনও যোগ নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন মতুয়া মহাসঙ্ঘের বর্ষীয়ান সদস্য মমতা বলা ঠাকুর।
এমনকি এই ধরনের সম্পর্কে কিছু জানেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন পাশাপাশি এই সব কিছু দল বলতে পারে বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে আবার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেছেন তাঁর সঙ্গে নাকি মমতাবালা ঠাকুরের ফোনে কথা হয়েছে। সনে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রণয়নের সঙ্গে সঙ্গে মতুয়াদের জন্য নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল কিছু করেনি এমনটাই ঘোষণা করেছিলেন।
কিন্তু তার পর নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হওয়ার পর মতুয়া মহাসঙ্ঘের দালান থেকে হর হর মোদী রব উঠেছিল। তাই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে প্রথমে মতুয়া সঙ্ঘের তরফ থেকে সমর্থন না করা হলেও মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই চিত্রটা বদলে যায়।