বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সংবাদের শিরোনামে হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। বিচারব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে এবার সরাসরি রাজনীতিতে যোগ দেওয়া উচিৎ। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের করা মন্তব্য এবং হলফনামা তলবের প্রেক্ষিতে ঠিক এমনই মন্তব্য করে বিচারপতিকে বেনজির আক্রমণ করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
সোমবার একটি টুইট করে কুণাল লেখেন, “সুপ্রিম কোর্টের আজকের বক্তব্যের পর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের উচিত বিচারব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে সরাসরি রাজনীতি করা। বিচার চালানোর কোনো নৈতিক অধিকার তাঁর নেই”। একজন বিচারপতি হয়ে চলতি মামলা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে পারেন কি না সেই প্রশ্ন আগেও উঠেছিল। এক সংবাদমাধ্যমে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকার নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের কাছে হলফনামা চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের আজকের বক্তব্যের পর বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের উচিত বিচারব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে সরাসরি রাজনীতি করা। বিচার চালানোর কোনো নৈতিক অধিকার তাঁর নেই। pic.twitter.com/AIpLDc5gxM
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) April 24, 2023
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কুন্তল ঘোষের চিঠি মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সেই মামলার শুনানিতেই এই নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। পাশাপাশি আগামী শুক্রবারের মধ্যে হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে হলফনামা চাওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কুণাল বলেন, ‘‘বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় টিভিতে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন কি না, তা হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে বিচারপতির কাছ থেকে ‘কনফার্ম’ করতে বলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, যদি সাক্ষাৎকার উনি দিয়েও থাকেন তা উচিত হয়নি। যে মামলা তিনি শুনছেন, তা আর তিনি শুনতে পারেন না। কারণ, এতে রাজনৈতিক বিষয় জড়িয়ে যাচ্ছে।’
কুণাল আরও বলেন, ‘‘সবিনয়ে একটা কথা আমরা বার বার বলে আসছিলাম— যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় যা যা করছেন, করুন। কিন্তু তার বাইরে বেরিয়ে উনি রাজনৈতিক ভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মন্তব্য করছিলেন। ব্যক্তিগত মতপোষণ করছিলেন। বিরোধীদের অক্সিজেন দিচ্ছিলেন। একেবারে বিরোধী নেতার মতো আচরণ করছিলেন বিচারপতি।’’ মুখপাত্রের সংযোজন, ‘‘বিচারব্যবস্থার প্রতি সম্পূর্ণ সম্মান রেখে আমরা যে অভিযোগ করেছিলাম, তার মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট।’’