বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকালই ২০২২ সালের প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ (Calcutta HC Division Bench)। সুপ্রিম কোর্ট থেকে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ, খারিজ হয়ে যাচ্ছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) রায়। বুধবার ডিভিশন বেঞ্চে আংশিকভাবে জাস্টিস গাঙ্গুলির রায় খারিজ হয়ে যাওয়ার পরই বিচারপতিকে জোর খোঁচা তৃণমূল কংগ্রেসের তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্যের (TMC Leader Debangshu Bhattarcharya)।
ঠিক কি বললেন তৃণমূল নেতা? এদিন দেবাংশু বলেন, ‘অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় দেশের ফার্স্ট বয়.. উচ্চ আদালতে রায় খারিজ হওয়ার নিরিখে।’ সেইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘ওই চেয়ারে (বিচারপতির চেয়ারে) বসে থাকা একজন ব্যক্তির উদ্দেশ্য কখনওই ন্যায়বিচার ছিল না। ছিল তৃণমূলকে কাঁপানো!’
বুধবার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে দেবাংশু বলেন, ‘অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় দেশের ফার্স্ট বয়.. উচ্চ আদালতে রায় খারিজ হওয়ার নিরিখে। অভিনন্দন।’ তৃণমূল মুখপাত্রের সেই পোস্টে লাইক, কমেন্ট এর বন্যা।
আরও পড়ুন: দক্ষিণবঙ্গের ৭ জেলায় আবহাওয়া বদলের বড় ইঙ্গিত! চলবে ঝড়-বৃষ্টির তাণ্ডব: আবহাওয়ার খবর
সেই পোস্টের প্রেক্ষিতেই এক নেটিজেন লেখেন, ‘তৃণমূলকে কাঁপিয়ে দেওয়ার নিরিখে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (হলেন) দেশের ফার্স্ট বয়।’ এরপর প্রতিক্রিয়া দিয়ে দেবাংশু লেখেন, ‘কারেক্ট বলেছেন! ওই চেয়ারে বসে থাকা একজন ব্যক্তির উদ্দেশ্য কখনওই ন্যায়বিচার ছিল না। ছিল তৃণমূলকে কাঁপানো! ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে.. আরও একটি কথাও ভাবুন! রাজ্যের বিরোধী দলগুলি কত বড় বড় অকর্মের ঢেঁকি হলে নিজেদের চাইতে বেশি ভরসা কোনও কাঁপিয়ে দেওয়া লোকের উপর রাখে!”
আরও পড়ুন: ‘উনি হয়তো দলে ভাল নেই! চিন্তায় রয়েছেন’, কার বিষয়ে একথা বললেন শুভেন্দু?
প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইস্যুতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে খোঁচা দিতে ছাড়েন নি দেবাংশু ভট্টাচার্য। এই যেমন, কিছুদিন আগেই একটি ফ্যাশন সংস্থার কুর্তা পরে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর নিজের ফেসবুক পেজে সেই পোস্ট শেয়ার করে দেবাংশু লিখেছিলেন,এবার একটি ইনারওয়্যার সংস্থার বিজ্ঞাপনেও “দেখতে চাই”। যদিও পরে ওই সংস্থা তরফে জানানো হয়, অন্যান্য ক্রেতাদের মতো বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ও ওই সংস্থার কুর্তা কিনেছিলেন এবং সেই কুর্তা পরা ছবি পাঠিয়েছেন।
আবার বিচারাধীন বিষয় নিয়ে টিভিতে সাক্ষাৎকার দেওয়ায় যখন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে সুপ্রিম কোর্ট একটি মামলা থেকে সরিয়ে দিয়েছিল তখনও নাম না করে দেবাংশু বলেছিলেন, ‘সত্যি সত্যিই ঢাকিসমেত বিসর্জন হয়ে গেল! লক্ষণ গণ্ডির বাইরে দাঁড়ানো ভেকধারী রাবণকে সীতাও সাধু ভেবেছিল। সীতার ভুল ভেঙেছিল অপহৃত হওয়ার পর.. একই নিয়মে বাকিদেরও ভাঙবে। লাল সেলাম। ভালো থাকবেন কমরেড।’ কখনও ‘দালাল’ গাঙ্গুলি বলেও করেছেন আক্রমণ। আর এবারেও বিচারপতির রায় খারিজ হতেই বিন্দুমাত্র সময় ব্যয় করলেন না তৃণমূলের অন্যতম জনপ্রিয় এই নেতা।