‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে গিয়ে বিপাকে জ্যোতিপ্রিয়! বিক্ষোভের জেরে হাতজোড়ে চাইলেন ক্ষমা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘দিদিকে বলো’ এর পর এবার জনরোষের মুখে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ (Didir Suraksha Kavach)। পঞ্চায়েত ভোট পূর্বে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচির প্রচারে এসে নদিয়ার (Nadia) চাকদহ ( Chakdaha) ব্লকের ঘেটুগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের সহিসপুরে গ্রামবাসীদের রোষ-ক্ষোভের মুখে পড়লেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। শুধু তাই নয়, বিক্ষোভের জল এতটাই গড়ায় যে শেষমেশ করজোড়ে তিঁনি ক্ষমা চান গ্রামবাসীর কাছে।

চাকদহে কী ঘটেছিল এ দিন? এদিন মন্ত্রীর আসার অপেক্ষায় রাস্তায় নিজেদের দাবি দাওয়া নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন বেশ কিছু গ্রামবাসী। এরপর মন্ত্রীর আসার কথা জানান দিতে উপপ্রধানের গাড়ি আসতেই তা দাঁড় করিয়ে তাঁরা নিজেদের দাবি গুলো বলতে শুরু করেন। তবে তাঁদের অভিযোগ, “নানা কাজে পঞ্চায়েতে গেলে ওই উপপ্রধান সকলের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এ দিন মন্ত্রীর কাছে সমস্যার কথা জানানোর কথা বলতেই  উল্টে তিঁনি আমাদের গালিগালাজ করে গাড়ি নিয়ে চলে যান।” এরপর এই ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গ্রাম।

কিছুক্ষন পর সেখানে মন্ত্রী পৌঁছালে উত্তেজিত গ্রামবাসীদের দেখে গাড়ি থামিয়ে নিচে নামেন। এরপরই তাঁদের সমস্ত ক্ষোভ গিয়ে পরে মন্ত্রীর ওপর। মন্ত্রীকে ঘেরাও করে আধ ঘন্টা ধরে চলে চিৎকার-চেঁচামেচি বিক্ষোভ। এরপর তাঁদের শান্ত করানোর চেষ্টা করেন তিঁনি। সকলের কথা মন দিয়ে শুনে সুরাহার আশ্বাসও দেন মন্ত্রী। গ্রামবাসীর বিক্ষোভ সামাল দিতে শেষপর্যন্ত তাঁদের সামনে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইতে হয় মন্ত্রীকে। উত্তপ্ত  পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে প্রায় আধ ঘণ্টা লেগে যায়। এরপর মন্ত্রীর আশ্বাসে গ্রামবাসী বিক্ষোভ তুলে নিতেই গাড়িতে উঠে রওনা দেন মন্ত্রী।

tmc flag

অন্যদিকে গ্রামবাসীর সমস্ত অভিযোগকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে ঘেঁটুগাছির উপপ্রধান পরেশ ঘোষের দাবি , “ওরা আমার গাড়ি আটকায়। আমি ওদের কিন্তু কোনও খারাপ কথা বলিনি।” এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছে বিজেপিও। ঘটনায় চাকদহের বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ কটাক্ষ করে বলেন, “গত ১১ বছরে তৃণমূলের নেতা-প্রধানদের যা দম্ভ-ঔদ্ধত্য হয়েছে, তাতে ওদের মন্ত্রীদের ক্ষমা চাওয়ারই কথা।” অন্যদিকে জ্যোতিপ্রিয় বলেন, “উপপ্রধানের সঙ্গে আমি কথা বলব, তাঁকে সবার কাছে যেতে বলব।”


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর