বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ডিএ-র (DA) দাবিতে আন্দোলরত সরকারি কর্মীদের উদ্দেশে চরম হুমকি দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা (TMC Leader) কাইজার আহমেদ। ডিএ নিয়ে সরকারি কর্মচারী বা শিক্ষকদের কীভাবে চাপে রাখতে হবে, দলের কর্মী সভায় তার উপায় বলছেন কাইজার (Kaizer Ahamed)। আন্দোলনরত সরকারি কর্মীদের কোনো ‘ডিস্টার্বগিরি’ মেনে নেওয়া হবে না বলেও হুমকি দেন তিনি।
রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন। ভোটের দিন বুথে প্রিসাইডিং অফিসারের পাশাপাশি অন্যান্য দায়িত্ব সামলাবেন সরকারি কর্মীরাই। এদিন তাদের ‘চাপে’ রাখার জন্যই দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন কাইজার। অন্যদিকে, প্রকাশ্য সভায় তৃণমূল নেতার এহেন মন্তব্যের পরই শোরগোল রাজনৈতিক মহলে। নেতার কথার তীব্র সমালোচনা করেন ভাঙড়ের বিধায়ক, আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি।
ঠিক কী বলেন কাইজার? বুধবার ভাঙড়ের বড়ালি এলাকায় একটি কর্মিসভায় দাঁড়িয়ে তৃণমূল নেতা কাইজার ডিএ আন্দোলরত সরকারি কর্মচারীদের নিশানা বলেন, ‘‘এদের পোষায় আর না। এরা আবার কিন্তু ভোট করাতে আসবে। বলে দিলাম।’’ এরপরই তিনি বলেন, ‘‘যারা প্রিসাইডিং অফিসার হন, সব এই লোক। আজ যারা রাস্তায় বসে আন্দোলন করছেন ভাতা দাও, ডিএ দাও, হ্যান দাও, ত্যান দাও বলে। বলছে, ভাতা না দিলে ভোট করতে যাব না।’’
এখানেই থামেননি তৃণমূল নেতা। এরপর দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, “এরা বুথে এলে নিজেদের লোক বলে চাটাচাটি কোরো না যেন। এদের সব ডিস্টার্ব। ভোট দিয়ে এসেছে, ব্যালটে ডিস্টার্ব। আবার এখানে এসেও ডিস্টার্ব করবে। ওদের ডিস্টার্বগিরি ছাড়িয়ে দিতে হবে কিন্তু। আগে বুথের মধ্যে অনেক কায়দা করতিস। সে আর বলে লাভ নেই। ওদের মুরগির মাংস খাওয়ানোর চিন্তাভাবনা করিস না। চাপে রাখবি। বুথের মধ্যে সে আমরা ঠিকঠাক করে নেবো। যা মনে করেছে তাই করবে নাকি?’’
কাইজারের মন্তব্যের পরই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তবে নেতার মন্তব্যকে সমর্থন করেননি শওকত মোল্লা। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে ভাঙড়ে পঞ্চায়েত ভোট হবে। মানুষের রায় নিয়েই নির্বাচনে ভাল ফল করবে তৃণমূল। অন্যদিকে, কাইজারের মন্তব্যে পাল্টা ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী বলেন, ‘‘এটা ২০১৮ নয়। কেউ একচেটিয়া ভোট করাতে চাইলে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভাঙড়ের মানুষকে নিয়ে আমরা তার প্রতিবাদ করব। এই সব কথা বলে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন তৃণমূল নেতারা। তা আর করা যাবে না।’’