বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের প্রকাশ্যে শাসকদলের (Trinamool Congress) অন্তদ্বন্দ্ব। এবার মুরারিপুকুরে জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একেবারে প্রকাশ্যে তৃণমূলের ভেতরকার বিবাদ। প্রকাশ্য মঞ্চ থেকেই অভিযোগের সুর তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Sudip Bandyopadhyay) গলায়। ওদিকে দলের সাংসদের নাম না করে পাল্টা আক্রমণ কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh)।
ঘটনাটা কি? অনুষ্ঠান মঞ্চে দাড়িয়ে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে এদিন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সুন্দর কর্মসূচী হয়েছে। আগামীদিন আরও সুন্দরভাবে আরেকটু বড় করে সকলকে নিয়ে। আর সকলকে নিয়ে আমি কি বলতে চাইছি আরেকটু খুলে বলছি। দুই পান্ডের মধ্যে এক পান্ডের নাম দিয়েছো একজনের দাওনি। এরপর আমি আগামীতে দুই পান্ডেকেই দেখতে চাই।”
আরও পড়ুন: নেশা, র্যাগিং শেষ নয়, যাদবপুরে তোলাবাজি! কত করে নেওয়া হত নতুনদের থেকে? প্রকাশ্যে বিস্ফোরক তথ্য
প্রসঙ্গত, অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে প্রয়াত বিধায়ক সাধন পাণ্ডের স্ত্রীর নাম থাকলেও নাম নেই মেয়ে শ্রেয়া পাণ্ডের। এই নিয়েই এদিন অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে কার্যত অভিযোগের সুরে বক্তব্য রাখেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এরপরই সাংসদের নাম না করে তাকে পাল্টা আক্রমণ কুণাল ঘোষের।
আরও পড়ুন: হুড়মুড়িয়ে আসছে! তুমুল ঝড়-বৃষ্টিতে তোলপাড় দক্ষিণবঙ্গ? রাজ্যের ৫ জেলায় জারি অরেঞ্জ অ্যালার্ট
কি বললেন কুণাল? এদিন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল সাংসদকে নিশানা করে পাল্টা বলেন, “আমি একটা জায়গায় গিয়ে বলে এলাম তোমরা মিলেমিশে চলো তাতে আমি অভিভাবক হবো না। সত্যিই অভিভাবক হলে সেই এলাকার সমস্যার মধ্যে ঢুকে দুজনকে সামনে নিয়ে বসিয়ে তারপর আমি জ্ঞান দেব। তার আগে জ্ঞান দেওয়া আমার মানায় না।” দলের এই অন্তদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসতেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে গোটা রাজনৈতিক মহলে।