বাংলাহান্ট ডেস্ক : সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এরই মধ্যে পঞ্চায়েত স্তরেই উঠে আসছে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ। এবার তৃণমূল (TMC) পঞ্চায়েত প্রধানের (Panchayat Pradhan) বিরুদ্ধে দুর্নীতির ( Corruption) অভিযোগে পঞ্চায়েত অফিসে (Panchayat Office) তালা ঝুলিয়ে দিলেন তৃণমূলের সদস্যরাই (TMC Members)। ঘটনাটি ঘটেছে ডোমজুড়ের (domjur) কোলড়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়তে। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, আজ সকালে পঞ্চায়েত প্রধান দফতরে ঢুকতে গেলে তাঁকে অন্যান্য সদস্যরা বাধা দেন। ঘটনাস্থলে হাজির হয় পুলিশ। শাসকদলের সদস্যরাই পুলিশের কাছে দাবি জানান পঞ্চায়েত প্রধানকে গ্রেফতারের।
ডোমজুড়ের কোলড়া ১ নম্বর পঞ্চায়েতের মোট সদস্যসংখ্যা ১২। এর মধ্যে ৯ জন তৃণমূলের, ২ জন বিজেপি এবং ১ জন নির্দল সদস্য। বিক্ষুব্ধ পঞ্চায়েত সদস্যদের অভিযোগ, প্রধান নিলুফা মল্লিক পঞ্চায়েতের কাজকর্ম বিষয়ে তৃণমূল সদস্যদের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনাই করেন না। উল্টে তিনি বিজেপি এবং নির্দল সদস্যদের নিয়ে পঞ্চায়েত চালান। আমফানের পর লক্ষ লক্ষ টাকা তছরুপের অভিযোগও উঠেছে নিলুফা মল্লিকের বিরুদ্ধে। কবরস্থানের মাটি ফেলা, রাস্তা তৈরি এবং একশো দিনের কাজ থেকেও বিরাট অঙ্কের টাকা দুর্নীতি করেছেন তিনি। এমন দাবি করছেন তৃণমূল কর্মীরাই। এই দুর্নীতি রুখতে আজ সকালে পাঁচ তৃণমূল সদস্য এবং তাঁদের অনুগামীরা পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেন বলে অভিযোগ।
বিক্ষুব্ধদের দাবি, নিলুফা-র স্বামী প্রতি দিন পঞ্চায়েত অফিসে এসে বসে থাকেন। শুধু তাই নয়। পঞ্চায়েতের প্রতিটি কাজে হস্তক্ষেপ করেন তিনি। সম্প্রতি পঞ্চায়েত অফিস থেকে একটি ল্যাপটপ চুরি হয়ে যায়। তৃণমূল সদস্যদের দাবি, এই চুরির পেছনেও রয়েছে ওই পঞ্চায়েত প্রধানেরই হাত আছে। আজ যখন নিলুফা পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকতে যান, সেই সময়ই তাঁর দলের সদস্যরা তাঁকে বাধা দেন। তাঁকে ঘিরে স্লোগান দিতে থাকেন বলে জানা যাচ্ছে।
পঞ্চায়েত অফিস বন্ধ করে দেওয়ায় নিলুফাকে বাইরে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করলে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। এই বিষয়ে নিলুফাকে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি পাল্টা দাবি করেন, ‘মিথ্যে বলছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরা। তাঁদের দাবি মতো কাজ করি না বলেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন।’ তিনি কোনও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নন, এমনই দাবি করেন নিলুফা।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা