বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কিছুদিন আগেই জেলমুক্তি হয়েছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jiban Krishna Saha)। গত বছর এপ্রিল মাসে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। বহুদিন জেলে থাকার পর কয়েক মাস আগে সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেয়েছেন তিনি। জেলমুক্তির পর তাকে ঘিরে দলীয় কর্মীদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। সকলের শুভেচ্ছা, সংবর্ধনায় ভেসেছিলেন জীবন। তবে দিন দিন যেন ফিকে হচ্ছে সেই জনপ্রিয়তা।
জেলফেরত জীবনকৃষ্ণকে তৃণমূলের (Trinamool Congress) কোনো কর্মসূচিতেই আর দেখা যায়নি। মঙ্গলবার বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানেও ডাকা হয়নি তাকে। আবার সেই মঞ্চ থেকে বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান রবিউল আলম বার্তা সাফ বার্তা দিয়ে সকলকে বলেন, ‘ক্যামাক স্ট্রিটের অর্ডার’ আছে। দলীয় নেতাকর্মীরা যাতে কোনোভাবেই বড়ঞার বিধায়ক জীবনের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখেন।
রবিউল বলেন,’রাজ্য নেতৃত্ব জীবনকৃষ্ণ সাহাকে দলের সমস্ত কাজ থেকে দূরে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। কি কারণে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তা আমাদের জানা নেই। ক্যামাক স্ট্রিটের অর্ডার আছে আর যে কয়েকটা মাস উনি বিধায়ক হিসাবে রয়েছেন, ততদিন মানুষকে পরিষেবা দেবেন। সই-সাবুদ করবেন। তবে তৃণমূলের কোনও কর্মসূচিতে তাকে রাখা যাবেনা।’
ভরা মঞ্চ থেকেই সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান বলেন, জীবনকৃষ্ণর সঙ্গে দল কোনো সম্পর্ক না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দলের কোনো কর্মসূচিতেই তাকে আর রাখা হবে না। সেই কারণেই বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানেও তাকে ডাকা হয়নি বলে জানান তিনি। বিজয়া সম্মিলনীর ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বহরমপুরের নব নির্বাচিত সাংসদ ইউসুফ পাঠানও।
আরও পড়ুন: অর্ধেক নভেম্বর মাসই ছুটি! কবে কবে বন্ধ অফিস-কাছারি? দেখুন সরকারের নয়া তালিকা
বড়ঞা বিধানসভা এলাকার কৃষক বাজার চত্বরে তৃণমূলের ওই বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে স্থানীয় তৃণমূল নেতা মাহে আলমও বলেন, উপরমহলের নির্দেশ মেনেই এখানকার বিধায়ককে দলের কোনও সাংগঠনিক কাজে আর রাখা যাবে না। যদিও এই গোটা বিষয়ে অবগত নয় বলেই জানান জীবনকৃষ্ণ। তিনি বলেন, দলের দেওয়া এমন কোনও নির্দেশের কথা তিনি জানেন না।