অভিষেকের অফিসে গেলে চাকর দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়, CBI তদন্তের মুখে বিস্ফোরক তাপস সাহা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি বাংলার নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) নাম জড়িয়েছে তার, আর চিন্তা বাড়িয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশ। নিয়োগ কেলেঙ্কারির অভিযোগে তেহট্ট-র তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) তাপস সাহার (Tapas Saha) বিরুদ্ধেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। প্রথমে রাজ্যের দুর্নীতিদমন শাখার হাতে এই তদন্তভার থাকলেও বর্তমানে তা সিবিআইয়ের হাতে। আর এই নির্দেশের পরই দলের একাংশের বিরুদ্ধে কার্যত ফেটে পড়লেন বিধায়ক।

শুধু দলের নেতাদের বিরুদ্ধেই নয়, এমনকি বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) বিরুদ্ধে। বুধবার এক সংবাদমাধ্যমের কাছে সাক্ষাৎকারে তাপস সাহা দলের সেকেন্ড ইন কমান্ডোর বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ এনে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া দলে কেউ নেই, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে গেলে রীতিমতো চাকর দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।

ঠিক কী কী বললেন বিধায়ক? চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই নির্দেশের পর দল তরফে যোগাযোগ করা হয়েছে কী? এই প্রশ্নের উত্তরে তাপসবাবু বলেন, “দল কোনও গাইডেন্স-পরামর্শ দেয়নি।” এরপর পাল্টা প্রশ্ন করে তিনি বলেন, “শীর্ষস্তরীয় নেতা বলতে আপনি কাকে বোঝেন? দিদি। দিদিকে আমি শ্রদ্ধা করি। তিনি ব্যতিক্রমী। যেভাবে বাংলায় তিনি লড়াই করছেন, তাতে তিনিই আমাদের একমাত্র নেত্রী। তিনি আমার কাছে দেবতার থেকেও বেশি। মমতার পর আমি আর কাউকে মনে করি না। সিঙ্গুর, ভাঙড়, নন্দীগ্রাম-প্রত্যেকটা আন্দোলনেই গিয়েছি। কাউকে দেখিনি সেখানে।”

এখানেই থেমে থাকেননি বিধায়ক। এরপরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে মুখ খোলেন তিনি। বলেন, “তিনি (অভিষেক) আমার সঙ্গে কখনও কথা বলেননি। আর অফিসে গেলেও চাকর-বাকর দিয়ে বার করে দেওয়া হয়। কলকাতার ক্যামাক স্ট্রিটের এবি অফিস থেকে বার করে দেওয়া হত।”

abhishek tapas

বিধায়কের এই মন্তব্যের পরই শোরগোল পরে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। খোদ যুবরাজের বিরুদ্ধে এহেন গুরুতর অভিযোগ! হজম হচ্ছেনা অনেকেরই। তবে প্রকাশ্যে তাপসবাবুর এই অভিযোগে যথেষ্টই অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসকদল। তাপস সাহার এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “তাপস সাহা এগুলো ঠিক বলছেন না । কেউ কাউকে অফিস থেকে বের করে দেয় না । এখন কোনও মিটিং থাকলে হয়ত দেখা করতে পারেনি । তাই বলে এই মন্তব্য ঠিক না।”

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর