বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্য জুড়ে ইতিমধ্যেই চারা দিয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election ) দামামা। এরই মাঝে উত্তরবঙ্গে (Uttorbanga) শাসক দলের অন্দরেই দেখা দিল কোন্দল! দলের প্রধানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ শাসক দলেরই পঞ্চায়েত সদস্যদের। রীতিমতো অস্বস্তিতে শাসক শিবির।
পঞ্চায়েত নির্বাচন পূর্বে আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) হ্যামিল্টনগঞ্জে গোষ্ঠীদ্বন্দে নাজেহাল ঘাসফুল শিবির । লতাবাড়ির গ্রামপঞ্চায়েতের এক তৃণমূল সদস্যদের দাবি, আইন মানছেন না খোদ তৃণমূল প্রধান।
কি কি অভিযোগ করেছে শাসকদলের পঞ্চায়েত সদস্য? অভিযোগকারী জানান, আইন-কানুন মানছেন না দলের প্রধান। এই নিয়ে দলের ব্লক প্রধানকেও নাকি অভিযোগ জানানো হয়েছে বহুবার। তবে সুরাহা হয়নি। এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে অভিযোগকারী পঞ্চায়েত সদস্য বিপ্লব ঘোষ বলেন, ‘গ্রাম পঞ্চায়েতে অর্থ বিষয়ক একটি কমিটি রয়েছে। সেই কমিটি ও প্রধানের সম্মতিতে নানা বিল পাশ হয়। তবে প্রধান কমিটির সদস্যদের সম্মতি ছাড়াই সেই বিল পাশ করে দিচ্ছেন। এ বিষয়ে আমরা পঞ্চায়েত সদস্যরা দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েছি।’
আর এই ঘটনার পরই কার্যত অস্বস্তিতে পড়েছে ঘাসফুল শিবির। অন্যদিকে এবিষয়ে লতাবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপির কালচিনি ব্লক আহ্বায়ক অলোক মিত্র বলেন, ‘এটা তো হওয়ারই ছিল। আমি নিজে অনেকবার এই সবের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলাম। এখন তাঁর দলেরই স্বচ্ছ রাজনীতিতে বিশ্বাসী নেতারা এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন।’
অভিযুক্ত অবশ্য তার বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ মানতে একেবারেই নারাজ। লতাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সোনালি দাস চক্রবর্তী। তিনি বলেন ‘এসব চক্রান্ত। আমি কোনও ভুল কাজ করিনি। আমি প্রমাণ দিতে পারব।’
এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন লতাবাড়ির প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান তথা বর্তমান তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য প্রাণকুমার সরকারও । তার বক্তব্য , ‘প্রধানের বিরুদ্ধে যা অভিযোগ তা দলের জেলা ও ব্লক সভাপতিকে জানিয়েছি।’