বাংলা হান্ট ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল যবদ্বীপ ধনখড় কে কার্নিভালের দিন ডেকে নিয়ে গিয়ে অপমান করা হয়েছে, এমনটাই দাবি করেছিলেন রাজ্যপাল নিজেই। এমনকি তিনি এও বলেছিলেন যে তাকে রাজ্য সরকার রীতিমতন ইচ্ছাকৃত ভাবে অপমান করেছে। তাঁর উপর ‘সেন্সরশিপ’ করা হয়েছে। সম্প্রতি কড়া ভাষায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছিলেন তিনি।
কিন্তু রাজ্যপালের এই অভিযোগ সরাসরি অভিযোগ খারিজ করেছে শাসক দল। এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পর রাজ্যপালের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি প্রকাশ করল তৃণমূল। ঘাসফুল শিবির দাবি জানিয়েছে, ছবিতে স্পষ্ট সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করেছেন রাজ্যপাল।
বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যপালের মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তবে এনিয়ে মুখ খুলতে নারাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন,”এব্যাপারে কিছু বলব না।” মুখ্যমন্ত্রী এড়িয়ে গেলেও গত ২ দিন ধরে রাজ্যরাজনীতির আলোচ্য বিষয়, মুখ্যমন্ত্রী বনাম রাজ্যপালের সংঘাত।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজ্যপাল অভিযোগ করে বলেন, মেগা কার্নিভালের দিন তিনি সেখানে সব সময় উপস্থিত ছিলেন, অল্পকিছু সময় থেকে বেরিয়ে যাননি, পুরো অনুষ্ঠানটিতে তিনি নিজের উপস্থিতি বজায় রেখেছিলেন। কিন্তু ৪ ঘণ্টা বসে থাকা সত্ত্বেও, তাঁকে কোথাও দেখানো হয়নি। এমনকি তার নাম পর্যন্ত উল্লেখ করা হয়নি সেখানে। শুভ অনুষ্ঠানের দিন এমন ঘটনায় যথেষ্ট অপমানিত বোধ করেছেন জগদীপ ধনখড়। শুধু তাই নয়। তিনি আরও বলেছেন, কার্নিভাল অনুষ্ঠানে তাঁর জন্য আলাদা তৈরি করা হয়েছিল। এই সবকিছুতেই তিনি খুবই দুঃখ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল।
রাজ্যপাল সাংবাদিকদের বলেছেন, তিনি এরাজ্যের সাধারণ মানুষকে জানিয়ে রাখতে চান যে মেগা কার্নিভালের দিন তার সঙ্গে ঠিক কি রকম ব্যবহার করা হয়েছিল। তিনি জানিয়েছেন তার চোখে শুধু জল চলে এসেছিল। সেদিন তিনি প্রায় ‘কেঁদে ফেলেছিলেন’ বলেও জানিয়েছেন জগদীপ ধনখড়। তিনি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। তিনি রাজ্যের প্রথম নাগরিক। এতকিছুর পরেও শহরের জাঁকজমক পূর্ণ অনুষ্ঠানে তার সঙ্গে কেন এমন ব্যবহার করা হলো? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল।
কিন্তু অন্যদিকে আবার উল্টো ছবি প্রকাশ করেছে তৃণমূল, এবার দেখার বিষয় ঘটনার জল কোনদিকে গড়ায়।