বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত ভোট পূর্বে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নবজোয়ার যাত্রা কার্যত পরিণত হয়েছে জনজোয়ার যাত্রায়। বৃহস্পতিবার শুভেন্দু গড় নন্দীগ্রামে (Nandigram) অভিষেকের কর্মসূচিতে জনবিস্ফোরণ ঘটে। রাত ৯ টার কিছু পরে সেখানের তেঙ্গুয়া মোড়ে জড়ো হয়েছিল লক্ষাধিক মানুষ। নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়েই বিরোধী দলনেতাকে (Suvendu Adhikari) কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তৃণমূলের নম্বর টু।
এদিন অভিষেকের বক্তৃতার প্রথম থেকে শেষ, সবটাই ছিল শুভেন্দুকে নিশানা করে। এরপরই শুক্রবার ধানতলা থানার কুলগাছি গ্রামে যান শুভেন্দু। তারপর বহিরগাছিতে দলীয় কর্মসূচিতে একটি সভা থেকে অভিষেককে পাল্টা আক্রমণ শানাতে গিয়ে ‘তুই তোকারি’ পর্যন্ত করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।
ঠিক কি বললেন বিরোধী দলনেতা? অভিষেককে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‘যদি সাহস থাকে আটকে দেখা। আমার রাজনীতির বয়স ৩৩ বছর। তুই যার আলোয় আলোকিত, তোর পিসিমণি, তাকে আমি হারিয়েছি।’’
শুভেন্দুর এই ‘তুই তোকারি’ মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এই নিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, ‘‘শুভেন্দু ১৫ বছরের ছোট অভিষেককে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করেন। ব্যক্তি ঈর্ষায় অভিষেককে আক্রমণ করেন, ব্যক্তিগত চক্রান্তমূলক কথা বলেন। অভিষেক মাথা উঁচু করেই তার জবাব দিচ্ছেন। দিল্লি নিয়ন্ত্রিত এজেন্সিকে ব্যবহার করে নিজের সাংগঠনিক ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা করেন শুভেন্দু। তাতে সোজা ভাষায় উত্তর দিয়েছেন অভিষেক।’’
পাশাপাশি শুভেন্দু গড়ে দাঁড়িয়ে অভিষেকের কর্মসূচি নিয়েও মন্তব্য করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামে ঐতিহাসিক মহামিছিল হয়েছে। সেখানে নৈশবিপ্লব হয়েছে। শুভেন্দু তো লোডশেডিংয়ে জিতে ফল উলটে বিধায়ক হয়েছে। অন্যদিকে অভিষেক সেই অন্ধকারে আলো জ্বেলেছে। নন্দীগ্রাম অভিষেককে যেভাবে গ্রহণ করেছে তাতে শুভেন্দুর পায়ের তলা থেকে মাটি সরছে। নন্দীগ্রাম তৃণমূলের ছিল, আছে ও থাকবে।’’