বাংলাহান্ট ডেস্ক : আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2022) তৃণমূল কংগ্রেসকে (TMC) বেশ কিছুটা এগিয়েই রাখলেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। বিজেপি কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) বক্তব্য, ভোট লুঠ করার গণতন্ত্র চলছে বাংলায়। পঞ্চায়েত ভোটেও তাই হবে। দুটো উপনির্বাচন সেভাবেই জিতেছে তৃণমূল। ঘাস-ফুল শিবির এবারেও সেই এক পথেই হাঁটবে বলেই মনে করেন তিনি।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) নিশানা করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘মমতার দলে না কি হাজার হাজার অনুব্রত, দুর্নীতির লেভেল বুঝে নিন। ভিতরে কি হয়েছে জানিনা। অনুব্রত হয়তো ভেবেছিলেন ঠিক হয়ে যাবে। জামিন হয়ে যাবে। হয়নি। যারা মিডল ম্যান, তারাই টাকা কালেক্ট করেছে। এদের ধরলে নেক্সাস ক্লিয়ার হয়ে যাবে।‘ পুজোয় ক্লাবগুলোকে অনুদান দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘একটা কমিটিও টাকা চায়নি। উনি যেচে দান খয়রাত করতে গেছেন। তাই জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। ঠিকই হয়েছে।‘
অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে দিলীপের মন্তব্য, ‘ওঁ ছাড়া পেলে সব চাপা পরে যাবে। তাই সবটা না জানা পর্যন্ত ওঁকে জেলেই রাখা উচিৎ। তিনি আরও বলেন, ‘একটা অনুব্রততেই এই। মমতা বলেছেন, তার দলে হাজার হাজার অনুব্রত রয়েছে। তাহলে বুঝে নিন দুর্নীতির লেভেল কী। গোটা বাংলাই এসব জানত। রাস্তা ঘাটে চায়ের দোকানেও আলোচনা হত। এখন প্রমাণ সংগ্রহ শুরু হয়েছে।’
বিজেপির উপরও তাঁর হতাশা লক্ষ্য করা গেছে এদিন। তিনি বলেন, ‘আমি দলের একজন সাধারণ কর্মী। দলের ঊর্ধ্বে তো আমি নই। কোনও কর্মসূচিতে জানালে কর্মী হিসেবে অবশ্যই অংশ নেব।‘ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি জানান, ‘আমার সভাপতি মনে করেছেন বাংলাকে বাঁচাতে গেলে যার যার ঝান্ডা নিয়ে সবাইকে এক হতে হবে। উনি ঠিক বলেছেন। নবান্ন অভিযানে আমার জন্য আলাদা কোনও সিদ্ধান্ত হবে না। দল যা সিদ্ধান্ত নেবে, আমিও তাই পালন করব।‘
পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে ভোট লুঠের কথা বললেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘ভোট লুঠের গণতন্ত্র চলছে গোটা বাংলা জুড়ে।পঞ্চায়েত ভোটেও তাই হবে। দুটো উপনির্বাচন ছিল। দেখলেন তো সেখানে কী হল।‘ কিছুদিন আগেই দিলীপ বলেন কলকাতায় একটা আসনও পাবে না বিজেপি। দিলীপ ঘোষের দাবি, কলকাতায় যে অব্যবস্থা চলছে তারপরেও এই শহরের মানুষ তৃণমূলকেই ভোট দেবে।
কলকাতা নিয়েও দিলীপ ঘোষের কথায় মিশে ছিল একরাস ক্ষোভ, ‘বিজেপি কলকাতায় কবে সিট পেয়েছে? কলকাতার লোক দুর্নীতি নিয়ে ভাবে না। নিজের সুবিধা নিয়েই থাকে। গোটা রাজ্যে প্রতিবাদ চলছে। কলকাতায় প্রতিবাদ কোথায়? তারা নিজেরা নিজেদের নিয়ে থাকেন। আমি যা বলি সত্য বলি। কারও খারাপ লাগলে আমার কিছু করার নেই। কারও যদি দম থাকে, কলকাতায় বিজেপিকে জিতিয়ে দেখাক। এখানকার বাঙালিদের এটাই ক্যারেকটার। কালিঘাটের কাছে থাকি। আনন্দে থাকি। ভিখারি হয়ে থাকি। কিচ্ছু যায় আসে না। পুজোর টাকা পেয়ে খুশি থাকি।’