বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, ততই যেন বিতর্ক ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। বাংলায় বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক হিংসার ঘটনা জুড়ে সরগরম রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট আর এর মাঝেই এবার শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) গড়ে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) কর্মীকে মারধরের অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল।
ঘটনার কেন্দ্রস্থল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর ২ ব্লক সংলগ্ন ভূপতিনগর এলাকা। এলাকায় তৃণমূল যুব সভাপতিকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি কর্মী সমর্থক এবং মণ্ডল সভাপতির বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একই সঙ্গে ইতিমধ্যে পুলিশের জালে তিন অভিযুক্ত।
আগামী ৩ রা ডিসেম্বর তৃণমূল কংগ্রেস সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি সভা রয়েছে। সেই উপলক্ষে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভূপতিনগর এলাকায় একটি প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। সূত্রের খবর, উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি নির্মল প্রামাণিক। পরবর্তীতে সেখান থেকে ফিরলে নির্মলের বাড়ি গিয়ে তাঁকে তুলে নিয়ে আসে ১০-১২ জন বিজেপি কর্মী সমর্থক এবং পরবর্তীতে তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মারধর করে জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
উল্লেখ্য, এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি শুভাশিস মাইতির যোগ রয়েছে বলে খবর সামনে আসছে। পরবর্তীতে গুরুতর জখম অবস্থায় তৃণমূল নেতাকে উদ্ধার করার পাশাপাশি তাঁকে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই মুহূর্তে তৃণমূল নেতার চিকিৎসা চলার পাশাপাশি ৩ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিদের উদ্দেশ্যে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা মানব পড়ুয়া বলেন, “বহুদিন ধরে বিজেপি বিধায়ক এবং মণ্ডল সভাপতি শুভাশিস মাইতি সহ আরো বহু বিজেপি কর্মী সমর্থকরা সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের কর্মীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় কয়েকজন যুবক এবং পরবর্তীতে তাঁকে মারধর করে জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ যেন তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে।”
যদিও অপরদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি মণ্ডল সভাপতি শুভাশিস মাইতি বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের দলের কোনরকম সম্পর্ক নেই। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা এলাকায় বোমাবাজির পাশাপাশি একাধিক হিংসার ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল। এই ঘটনা গ্রামবাসীদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।”