বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলার তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনে এবার ট্যুইটারে সরব হলেন হরিয়ানার এক তৃণমূল কর্মী। তাঁর অভিযোগ এক সপ্তাহ আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার উদ্দ্যেশ্যে কলকাতায় এসেছেন তাঁরা। কিন্তু কলকাতায় এক সপ্তাহ ধরে হন্যে হয়ে ঘুরলেও সাহায্য মেলেনি কারও কাছেই। তাই শেষ মেষ খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে ট্যুইটারেই নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন আনারুল মণ্ডল নামের ওই তৃণমূল কর্মী।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে ট্যুইটারে তিনি লেখেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্যার, আমরা হরিয়ানা থেকে আপনার সঙ্গে দেখা করার জন্য কলকাতাতে এক সপ্তাহ থেকে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছি। কিন্তু পার্টির কোনও নেতা আপনার সঙ্গে দেখা করার জন্য কোনওরকম সাহায্য করছে না, তাই ট্যুইটার মাধ্যমে আপনার কাছে বার্তাটা পৌঁছলাম স্যার।’
তিনি অপর একটি ট্যুইটে আরও লেখেন, ‘অভিষেক স্যার, খুব দুঃখজনক বিষয় আমরা পার্টির সক্রিয় কর্মী হওয়ার পরেও আপনার সঙ্গে দেখা করার জন্য কোনওরকম ভাবে কলকাতায় এসে সাহায্য পাচ্ছি না। হরিয়ানা থেকে সিনিয়র নেতারাও এসেছেন তার মধ্যে একজন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং আরও একজন হরিয়ানার রাজ্য সভাপতি। আমাদের আসার উদ্দেশ্য হরিয়ানা রাজ্যে পার্টির বিস্তার করা। কিন্তু আমাদেরকে কোনও রকম ভাবে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না বরঞ্চ আমাদেরকে এখানকার নেতারা হেনস্থা করছে।’
এই অভিযোগ অবশ্য মানতে মোটেই রাজি নন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘এমন কোনও বিষয় আমার কানে আসেনি। তবে এভাবে কেউ এসে দেখা করতে চাইলেই তো দেখা করা যায় না। তার জন্য একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে। এখন যদি কেউ দিল্লির রাস্তায় ঘুরে ঘুরে বলে আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চাই আর তারপর হাওয়ায় টুইট করে দেয় তাহলে তো হবে না। দেখা করার জন্য তো তৃণমূল ভবন রয়েছে। সেখানে রাজ্য সভাপতি খোদ বসেন। যাঁরা তৃণমূল করেন তাঁরা সবাই জানেন তৃণমূল ভবনের ঠিকানা। বাইপাস না গিয়ে কেউ যদি ভিক্টোরিয়ায় ঘুরে বেড়ায় তাহলে তো কিছু বলার নেই।’ সেই সঙ্গেই তাঁর আরও দাবি, ‘তৃণমূল ভবন সপ্তাহে সাতদিন খোলা থাকে। রোজ শয়ে শয়ে লোক সেখানে এসে নেতাদের সঙ্গে দেখা করে। এরকম কখনও হয় না। উনি কী বলতে পারবেন কোন নেতারা ওঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন!’
এর প্রেক্ষিতে অবশ্য মোটেই মুখ খুলতে চাননি ওই তৃণমূল কর্মী। প্রথমে ওই ট্যুইট প্রসঙ্গে কোনও রকম প্রতিক্রিয়া দিতে অস্বীকার করলেও পরে অবশ্য তিনি জানান যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কার্যালয় থেকে তাঁকে যোগাযোগ করা হয়েছিল। আজই নির্ধারিত হয়েছে সাক্ষাতের সময়।