Staff Report: জয় শ্রী রাম ধ্বনি তে চরম আপত্তি দেখিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জী। এমনকি ওনার সামনে জয় শ্রী রাম ধ্বনি দিয়ে জেলের ঘানিও টানতে হয়েছে রাজ্যবাসীকে। এছাড়াও ওনার সামনে জয় শ্রী রাম ধ্বনি দেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং গাড়ি থেকে নেমে, মানুষকে তাড়া করেছেন। এছাড়াও উনি নিজে জয় শ্রী রাম ধ্বনিকে গালাগাল বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। এরপর বিজেপির তরফ থেকে ওনাকে ১০ লক্ষ পোস্ট কার্ডে জয় শ্রী রাম লিখে পাঠানো হয়েছিল। এরপর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কমপক্ষে ১০ জন বিজেপি কর্মী এবং সমর্থককে শুধুমাত্র জয় শ্রী রাম বলার জন্য তৃণমূলের গুণ্ডাদের হাতে নৃশংস ভাবে খুন হতে হয়েছিল।
বিজেপির জয় শ্রী রামের পাল্টা তৃণমূলও স্লোগান বের করে। তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জী এরাজ্যে ‘জয় হিন্দ” এবং ‘জয় বাংলা” এর স্লোগান দেওয়ার জন্য রাজ্যের সমস্ত তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের উদ্বুদ্ধ করেন। জয় হিন্দ স্লোগানে কোন বিরোধিতা নেই। কিন্তু জয় বাংলা স্লোগান নিয়ে অনেকেই বিরোধিতা দেখিয়েছেন। কারণ জয় বাংলা স্লোগান আমাদের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের। বিজেপি অভিযোগ করে বলেছে, মমতা ব্যানার্জী পশ্চিমবঙ্গ কে বাংলাদেশ বানাতে চাইছে বলেই, বাংলাদেশের স্লোগান কে আপন করে নিয়েছেন।
এবার তৃণমূলের সেই স্লোগান নিয়ে আবার বিতর্ক সৃষ্টি হল। এরাজ্যে বাংলা ভাষীর সাথে সাথে অবাঙালীরাও থাকে। কিন্তু এখন তৃণমূলের ছাত্র নেতার মতে এরাজ্যে থাকতে হলে ‘জয় হিন্দ” আর ‘জয় বাংলা” স্লোগান দিতেই হবে। আর সেটা বাধ্যতামূলক করতে চলেছে তৃণমূল।
বালুরঘাট কলেজে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের ডেপুটেশন কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। ABVP সদস্যরা বালুরঘাট কলেজে স্মারকলিপি জমা দিতে গেলে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ABVP এর রাস্তা রুখে দাঁড়ায়। তৃণমূলের তরফ থেকে ABVP এর চামরা গুঁটিয়ে নেব আমরা এর স্লোগান ও দেওয়া হয়। পরিস্থতি সামাল দিতে আগে থেকেই পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।
এই বিষয়ে বালুরঘাট কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি রোহণ চক্রবর্তী বলেন, ‘ কলেজকে শান্ত এবং শৃঙ্খলাবদ্ধ রাখার জন্যই আমরা এই কাজ করি।” তিনি বলেন, ABVP এর গুণ্ডারা এসে কলেজের পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা করছে। জয় শ্রী রাম এর ধ্বনি সবাইকে উত্তক্ত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এটা আমরা কোনদিনও বরদাস্ত করব না। এই বাংলায় থাকতে হলে, ‘জয় হিন্দ আর জয় বাংলা” বলতেই হবে।”