বাংলাহান্ট ডেস্ক : আনিস খান হত্যা মামলায় কার্যতই তোলপাড় গোটা রাজ্য। ন্যায়বিচারের দাবিতে একাধিকবার পথে নেমেছে বাম ছাত্র সংগঠন গুলি। দফায় দফায় চলেছে বিক্ষোভ-অবরোধ। অভিযোগের তীর সরাসরি ধেয়ে এসেছে শাসক দল এবং রাজ্য পুলিশের দিকেই। তবে আনিস খানের মৃত্যুর ১০ দিন পর এবার এই ইস্যুতে পথে নামল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। সোমবার মৌলালির রামলীলা ময়দান থেকে শুরু করে ধর্মতলার গান্ধী মূর্তি অবধি মিছিল করে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের নেতৃত্বেই হয় এই মিছিল।
এদিন তৃণাঙ্কুর জানান, ‘ছাত্রনেতা আনিসের মৃত্যুতে আমরা মর্মাহত। আইন আইনের পথেই চলবে। দোষীরা শাস্তি পাক। বন্ধ হোক মৃত্যু নিয়ে বিরোধীদের ঘৃণ্য রাজনীতি এবং অরাজকতা। এই দাবির পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই মৃত্যুর তদন্তের জন্য সিট গঠন করা, যাকে উচ্চ আদালত মান্যতা দিয়েছে তার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে আমরা ছাত্ররা মিছিল করলাম। মুখ্যমন্ত্রীর উপর মানুষ ভরসা রাখুন।’
ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুতে ঘিরে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। এসএফআই এবং DYFI আন্দোলন এবং অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে গেছে লাগাতার। হামলা চলেছে আমতা থানাতেও। এবার বিরোধীদের কর্মসূচির পালটা জবাব দিতেই সে মাঠে নামল তৃণমূল ছাত্র পরিষদও, এমনটাই মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহল।
অন্যদিকে সিটকে তদন্তে সাহায্য করতে অস্বীকার করে সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় ছিলেন আনিসের বাবা সালাম খান। ফলে সিটের তদন্তে বার বার আসতে থাকে বাধা। আনিসের দেহ দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্ত করতে চাইলেও সেক্ষেত্রেও বাধার সম্মুখীন হতে হয় সিটকে। অবশেষে বহু চেষ্টার পর আদালতের হস্তক্ষেপে আজই কবর থেকে তোলা সম্ভব হয়েছে দেহ। কলকাতার হাসপাতালে আজই ময়নাতদন্ত হচ্ছে দেহটির। আদালতের পর্যবেক্ষণেই পুরো প্রক্রিয়াটি করা হবে। এমনকি তদন্তের স্বার্থে ভিডিওও করে রাখা হতে পারে ময়নাতদন্তের। ১৫ দিনের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি করার কথা বলা হলেও এখনও অবধি অবশ্য মাত্র ২ জন পুলিশকর্মীমেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।