বাংলা হান্ট ডেস্ক : সন্দেশখালি (Sandeshkhali) এবং লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) এখন রাজ্যের হট কেক। ইতিমধ্যেই সন্দেশখালির মহিলারা জানিয়েছেন তাদের উপর হওয়া অত্যাচারের কথা। তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান থেকে শুরু করে তার সাঙ্গপাঙ্গদের কীর্তি শুনে কার্যত ‘থ’ হয়ে গেছে রাজ্যবাসী। আর এবার ভয়ঙ্কর অভিযোগ নিয়ে এল বীরভূমের (Birbhum) সিঙ্গি গ্রাম পঞ্চায়েতের মহিলারা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত রবিবার একটি শিবির তৈরি করা হয় সিঙ্গি গ্রামে। সেই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েতের ট্যাক্স কালেক্টর অশোক প্রামাণিক। সেখানে তার সাথে হাজির ছিলেন কিছু সঙ্গীসাথিও। আর এইদিন এই শিবিরের বিরুদ্ধেই গর্জে উঠল সিঙ্গি গ্রামের মানুষজন। অশোক প্রামাণিকও ভাবতে পারেননি যে, আম জনতা এরকম ক্ষেপে উঠতে পারেন বলে।
এইদিন শিবিরে উপস্থিত মানুষজন থেকে শুরু করে এলাকাবাসীরা জানান, তাদের থেকে আধার কার্ডের জেরক্স, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের যাবতীয় তথ্য। এসবের পাশাপাশি প্রত্যেকের কাছে দাবি করা হচ্ছে ২০০ টাকা। টাকা না দিলেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এবং বার্ধক্য ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুমকিও দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন : সমুদ্রের নীচে কৃষ্ণের নগরীতে প্রার্থনা, লাক্ষাদ্বীপে স্নরকেলিং-র পর দ্বারকায় স্কুবা ডাইভিং করলেন মোদী
হুমকি শুনে প্রাথমিকভাবে ঘাবড়েই যান গ্রামের মহিলারা। টাকা দিতে লাইনেও দাঁড়ান। ২০০ টাকার বদলে প্রত্যেক মহিলার হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয় পঞ্চায়েত অরের রশিদ। তবে বিষয়টা গোটা গ্রামে চাউর হতেই ক্ষেপে ওঠেন বাকি বাসিন্দারা। একজোট হয়ে এর প্রতিবাদ শুরু করতেই থতমত খেয়ে যান অশোক প্রামাণিক।
আরও পড়ুন : একের পর এক বিষ্ফোরণ, ভরা বসন্তে পুড়ে ছাই আনন্দপুরের একাধিক ঝুপড়ি, দিশেহারা এলাকাবাসী
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অশোক প্রামাণিক। তিনি বলেন, ‘বাড়িঘর জায়গা জমির হিসেব অনুযায়ী কারো কাছে ২০০ টাকা, কারো কাছে ৫০০ টাকা কর নেওয়া হচ্ছে। তিনি কাউকে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হয়ে যাবে বলেননি।’ অন্যদিকে গ্রামের মহিলাদের দাবি, কারও কাছেই আলাদা আলাদা টাকা নেওয়া হয়নি। প্রত্যেকের কাছেই ২০০ টাকাই নেওয়া হয়েছে। এমনকি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এবং বার্ধক্য ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। সকলের কাছ থেকে নেওয়া হয় আধার কার্ড। আধার কার্ড কেন নেওয়া হয় জিজ্ঞেস করা হলে অশোক প্রামাণিক জানিয়েছেন, আধার কার্ড নেওয়া হয়েছে লাইফ সার্টিফিকেট দেওয়ার জন্য।