বাংলাহান্ট ডেস্ক : শেষ পর্যন্ত শেষ হতে চললো কংগ্রেসের (Congress) ভারত জোড়ো যাত্রা (Bharat Jodo Yatra) অনুষ্ঠান। আগামী ৩০শে জানুয়ারি এর শেষ দিন। শুরু হয়েছিল ৭ই সেপ্টেম্বর। আগামী বৃহস্পতিবার দলের নেতা এবং কর্মীরা যাত্রা করতে চলেছেন জম্বু ও কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) এবং সেখানেই তাঁরা ভারতের (Indian) জাতীয় পতাকা (National Flag) তুলে শেষ করছেন তাঁদের এই দীর্ঘ যাত্রা। কিন্তু পতাকাটি উত্তোলন করা হবে দলের সদর দপ্তর বা পার্টি অফিসে প্রাচীন ঐতিহ্যমন্ডিত লাল চকে নয়।
এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের দলীয় প্রধান রজনী পাটিল জানান যে, ওই লাল চকে আসলে আরএসএস (RSS) বাহিনীরাই সাধারণত পতাকা উত্তোলন করে থাকেন, তাই কংগ্রেসকে নিজের সদর দপ্তরেই পতাকা উত্তোলিত করতে হবে। তবে রজনী আসলে বলতে কী চেয়েছেন? তিনি আরএসএস-কে কটাক্ষ করে মন্তব্য করেন যে, তাঁরা আরএসএস-এর যে এজেন্ডা বা বিষয় সূচী আছে, তাতে তাঁরা বিশ্বাস করেন না। লাল চকে জাতীয় পতাকা এমনিই এখন উত্তোলিত করা হয়েছে এবং আরএসএস-ই তা করেছে। তাই তাঁরা লাল চকে পতাকা উত্তোলন করবেন না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, লাল চকে ইতিমধ্যে পতাকা উড়তে দেখা গেছে। তবে, লাল চকে না হোক মৌলানা আজাদ রোডে অবস্থিত জম্বু কাশ্মীরের কংগ্রেস কমিটির সদর দপ্তরে তোলা হবে জাতীয় পতাকা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এটি লাল চক থেকে মাত্র ১ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত। লাল চক জম্বু কাশ্মীরের একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় একটি শহর। এতে অনেকগুলি স্কুল, কলেজ, সংবাদ মাধ্যম অফিস অনেক কিছু আছে। এবং সর্বোপরি ১৯৪৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু লাল চকে পতাকা উত্তোলন করে ভারতের মাটিকে সম্মান জানিয়ে ছিলেন।
কিন্তু লাল চককে আরএসএস-এর এজেন্ডা বলা কথাটি কী সত্যিই সমীচীন? এই প্রসঙ্গে রজনী আরও বলেন যে, ১৯৯০ সালে বিজেপির মুরলি মনোহর যোশি পতাকা উত্তোলিত করেছিলেন। কিন্তু তাঁর পর যখন সুষমা স্বরাজ অরুণ জেটলি প্রমুখ নেতারা পতাকা সেখানে যান তাঁদের আটকে দেওয়া হবে। তিনি বলেন যে, জাতীয় পতাকা যার যেখানে ইচ্ছে সে উত্তোলিত করতে পারে। কিন্তু এখানে বহুবার নেতা মন্ত্রীদের আটকে দিয়ে তাঁদের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। তাই তাঁরা ঠিক করেছেন নিজেদের সদর দপ্তরেই পতাকা উত্তোলন করবেন।