বাংলাহান্ট ডেস্ক : রোহিঙ্গা সমস্যায় (Rohingya Crisis) বিপাকে বাংলাদেশ। তাই রোহিঙ্গাদের নিজেদের দেশে ফেরানোর জন্য ভারতকে (India) পাশে চায় বাংলাদেশ (Bangladesh)। জানা যাচ্ছে, সেপ্টেম্বরে হাসিনা সফরে উঠতে পারে রোহিঙ্গা প্রসঙ্গ। শুধু তাই নয়, চিনের মধ্যস্ততায় আলোচনা শুরু হয়েছে মায়ানমারের সঙ্গেও। একথা জানালেন বাংলাদেশ সরকারের বিদেশ সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
বাংলাদেশে কিভাবে এল রোহিঙ্গারা?
সেই সত্তরের দশক থেকেই বাংলাদেশে ঢুকতে শুরু করেছে রোহিঙ্গারা। তবে আরাকান প্রদেশ থেকে আসা রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশে সমস্যা শুরু হয় ২০১৭ সালের অগস্ট মাসে। বাংলাদেশের সরকারি হিসাব অনুসারে সেই সময় ৭ লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম মায়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে বয়ে যাওয়া নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশের উখিয়া উপজেলার সংরক্ষিত অরণ্য অঞ্চলে এসে হাজির হয়। লক্ষ লক্ষ শরণার্থীকে আশ্রয় দিতে ২৫টি ক্যাম্পে ভাগ হয়ে গড়ে ওঠে বিশ্বের সর্ববৃহৎ শরণার্থী শিবির কুতুপালং। আগামী অগস্ট মাসেই পাঁচ বছর পূর্ণ হতে চলেছ পৃথিবীর বৃহত্তম রিফিউজি ক্যাম্প কুতুপালংয়ের (Rohingya Refugee Camp)। কিন্তু এই রোহিঙ্গারাই এখন বড়ো চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে শেখ হাসিনার কাছে।
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় কুতুপালং রিফিউজি ক্যাম্পের আয়তন প্রায় ৬.৫ একর। মোট ২৫টি ক্যাম্পে বসবাস করে প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ রোহিঙ্গা। বাংলাদেশে শুধুমাত্র নথিভুক্ত রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যাই প্রায় ৯ লক্ষ ২৫ হাজার। নথিভুক্তহীনদের সংখ্যা আরও বেশ কয়েক লক্ষ। এই বিরাট সংখ্যায় রোহিঙ্গারা বড়ো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ সরকারের সামনে।
রোহিঙ্গাদের জন্য কী কী সমস্যায় পড়ছে বাংলাদেশ?
১) রোহিঙ্গাদের জন্য দেখা দিতে পারে নিরাপত্তার সমস্যা।
২) মাদক পাচার থেকে নারী পাচার, বেড়েই চলেছে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড।
৩) কোভিড বিপর্যয় এবং রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের পরেই কমেছে রোহিঙ্গাদের জন্য বিদেশি বিনিয়োগ।
৪) রোহিঙ্গাদের খরচ সামলাতে চাপ বাড়ছে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে। বাড়ছে মূদ্রাস্ফীতি।
৫) দ্রুত গতিতে সংখ্যায় বাড়ছে রোহিঙ্গারা। বছরে প্রায় ৩৫ হাজার শিশু জন্মাচ্ছে এই ক্যাম্পগুলিতে।
৬) ২০২৩-এ বাংলাদেশে নির্বাচন। রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না হলে তা আগামী নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে বলেই মনে করছেন হাসিনা সরকার।