বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সাগরে আবারও তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়ের (cyclone) পরিস্থিতি। উসকে উঠেছে আমফানের সেই ভয়ঙ্কর স্মৃতি। আবহাওয়া দফতর (weather office) জানিয়েছে, প্রায় ১ বছর আগে যে সাঙ্ঘাতিক ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল বাংলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল, আবারও সেরকমই এক শাক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে চলেছে উপকূলভাগে।
ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘তাউটে’। মায়ানমার এই নামকরণ করেছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ ওড়িশা উপকূলে থাকলেও, এর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাতেও। এনডব্লুএস জানিয়েছে, আগামী ১৩ ই মে প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে উপকূলভাগে আছড়ে পরতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। তবে ঠিক কতোটা শক্তি নিয়ে উপকূলভাগে প্রবেশ করবে, তা এখনও জানা যায়নি।
১০ ই মে বঙ্গোপসাগরে এই ঘূর্ণাবর্ত ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারপর সেটি ৪৮ ঘণ্টায় প্রবল শক্তিশালী হয়ে ওড়িশা উপকূলভাগে আছড়ে পরতে পারে। তবে এই ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ যদি বদল ঘটে, তাহলে সম্পূর্ণ প্রভাবটাই পড়বে বাংলার উপর। যার ফলে আবারও সেই আফমানের স্মৃতি ফিরে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে, ভারতের আবহাওয়া অধিদফতরের কাছে আপাতত এমন কোন ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস নেই। তবে তাঁরা জানিয়েছেন, আশঙ্কা পেলেই তা জানানো হবে। আগামী ২-৩ দিনের মধ্যেই সবটা পরিষ্কার হবে বলে তাঁদের ধারণা।
আজকের আবহাওয়া
বৃহস্পতিবার কলকাতা শহরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। সকালের দিকে এলাকার কয়েকটি জায়গায় কয়েকবার বজ্রবৃষ্টি এবং রাতের দিকে মূলত পরিষ্কার আকাশ থাকতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
আজকের দিনে সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দুইই সামান্য বৃদ্ধি পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া দফতর। গত কদিনের বৃষ্টির জেরে কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছে বঙ্গবাসী। প্রবল গরমের হাত থেকে বৃষ্টির আগমনে চাতকের মত মন মেতেছে আনন্দে।