বাংলাহান্ট ডেস্ক: দক্ষিণী ছবির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক যদি ‘পুষ্পা’ হয়, তবে বাংলা ছবির ক্ষেত্রে তা নিঃসন্দেহে ‘টনিক’ (Tonic)। করোনা পরবর্তী সময়ে প্রেক্ষাগৃহ হাউজফুল করে দেখিয়েছে দেব ও পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জুটি। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেয়েছে টনিক। তারপর থেকে কেটে গিয়েছে চার মাস। ১০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে প্রেক্ষাগৃহে চলছে টনিক। সেলিব্রেশন তো বনতা হ্যায়!
এমন নয় যে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না টনিকের। আগে ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ পার্ট ওয়ান’, ‘৮৩’ এবং ‘স্পাইডার ম্যান: নো ওয়ে হোম’ এর মতো ছবি ভয় দেখিয়েছিল। কিন্তু বলিউডের ‘৮৩’ ফুৎকারে উড়ে গিয়েছে টনিকের কাছে। পুষ্পা ও স্পাইডার ম্যান টিকে থাকলেও দুই প্রতিপক্ষের সঙ্গে সমানে সমানে টক্কর দিয়েছে টনিক।
পুষ্পা, ৮৩ বিদায় নিয়েছে। কিন্তু বহাল তবিয়তে রয়ে গিয়েছে টনিক। পরবর্তীকালে গাঙ্গুবাঈ কাঠিয়াবাদি, আর এখন আর আর আর কেও টেক্কা দিচ্ছে টনিক। নন্দন, ডায়মন্ড প্লাজা পিভিআর, সাউথ সিটি মলে দিব্যি চলছে দেব পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। শুধু তাই নয়। ইতিমধ্যেই টিভিতে দেখানো হয়ে গিয়েছে ছবিটি। মুক্তি পেয়েছে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মেও।
তবুও দর্শকরা টিকিট কেটে প্রেক্ষাগৃহে দেখতে যাচ্ছেন টনিক। পরিচালক অতনু রায়চৌধুরীর বক্তব্য, এর মধ্যে একাধিক হিন্দি, বাংলা এবং দক্ষিণী ভাষার ছবি মুক্তি পেয়েছে। বেশ হিটও হয়েছে সেগুলি। এমতাবস্থায় কোনো ছবি থেকে ব্যবসা না হলে কোনো হল মালিকই এতদিন ছবি চালাতে রাজি হবে না। এখানেই টনিকের সাফল্য। শনিবার সেই সাফল্য উদযাপন করতেই কলাকুশলীদের নিয়ে আরো একবার ছবিটি দেখার ব্যবস্থা করেছিলেন পরিচালক ।
আগামীতে ‘প্রজাপতি’ ছবির পরিচালনা করছেন অভিজিৎ সেন। সেখানেও তাঁর নায়ক দেব। পরিচালকের দাবি, সবাই মিলেমিশে কাজ করলে এই ছবিও টনিকের মতোই সফল হবে। দেবের হাতে অবশ্য কিশমিশ, রঘু ডাকাত, কাছের মানুষের মতো ছবিও রয়েছে।