‘অসুস্থ হলেই ফোন করবেন আমায়’- সোনারপুরবাসীর কাছে ভগবান টোটোচালক দেবা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ টোটোর সর্বত্রই লেখা করোনা সচেতন বার্তা। ভেতরে রয়েছে অক্সিমিটার, প্রেশার মাপার যন্ত্র, থার্মোমিটার, স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থাও। এক ফোনেই পৌঁছে যাচ্ছেন অসুস্থ ব্যক্তির কাছে। সংকটের এই দিনে এলাকাবাসির কাছে দেবতা হয়ে উঠেছেন সোনারপুরের (Sonarpur) ঘাসিয়ারার বাসিন্দা দেবা।

পেশায় টোটো চালক দেবাশিস সরকার সোনারপুরের ঘাসিয়ারার বাসিন্দা। অন্যসময় তাঁর টোটো জীবিকা অর্জনের মাধ্যম হলেও, করোনা আবহে তাঁর সেই টোটোই হয়ে উঠছে ২৪ ঘণ্টার পরিষেবা প্রদানকারী। সকলে টাকা দিতে না পারলেও, এক ফোনেই ছুঁটে যাচ্ছেন দেবা। টাকা পয়সা থেকে উর্দ্ধে এখন মানুষে প্রাণ। আর সেই প্রাণ বাঁচাতে পরিষেবা দিচ্ছেন টোটো চালক দেবা। নিজের এলাকার সর্বত্র ছড়িয়ে দিয়েছে নিজের মোবাইল নাম্বার। বলে দিয়েছেন- ফোন করলেই, পৌঁছে যাব, হাসপাতাল পৌঁছে দেব।

vbjbbjbvjjbjbsbjjc

২৪ ঘন্টাই খোলা থাকছে তাঁর ফোন। ফোনে এলেই সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতাল কিংবা নার্সিংহোমে পৌঁছে দিচ্ছে করোনা রোগীকে। সংক্রমণের ভয়ে যখন বেশিরভাগ মানুষই হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে, তখন এই দেবাই সোনারপুরবাসীর কাছে ভগবান হয়ে উঠেছে।

মানুষ মানুষের জন্য- এই বিশ্বাস নিয়েই ছুঁটে চলেছেন দেবা। তাঁর কথায়, ‘বর্তমান সময়ে এই করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে পড়ছে। অসুস্থ হওয়ার পর সঠিক সময়েও অনেকে অ্যাম্বুলেন্স পাচ্ছেন না। আবার অসুস্থ অবস্থায় যদি ৪-৫ ঘণ্টা বাড়িতেই পড়ে থাকেন কেউ, তাহলে তাঁর অবস্থা আরও খারাপ হয়ে পড়ছে। তাই এই পরিস্থিতিতে আমি নিজে থেকেই এগিয়ে আসার কথা ভাবলাম। আমার ফোন নাম্বার সর্বত্রই আমি ছড়িয়ে দিয়েছি’।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর