বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Justice Amrita Sinha) নির্দেশে মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) হাজির হলেন ট্রাফিক গার্ড পলাশ হালদার। তবে তার স্পষ্ট দাবি, আইনজীবীর গাড়ির গতি বেশি থাকায় ট্রাফিক আইন মেনেই তার লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। অন্যদিকে আদালতের অন্য আইনজীবীরাও ওই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে সরব হন। তাদের পালটা অভিযোগ, তাদেরও একই রকম ভাবে হয়রানি করা হয়েছে। গতকাল বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর (Justice Jay Sengupta) এজলাসে এই মামলার শুনানি ছিল।
এদিন আদালতে হলফনামা দিয়ে ওই ট্রাফিক পুলিশ জানান, ওই আইনজীবী অতিরিক্ত স্পিডে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তা স্পিডো মিটারে ধরা পড়েছিল তাই তাকে আটকানো হয়েছিল। প্রথমে আইন মাফিকই তার লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। যদিও পরে তা ফেরত দেওয়া হয়। ওদিকে নিজের দাবিতে অনড় আইনজীবী। তার পাল্টা দাবি, আইন মেনে কাজ করেননি ওই ট্রাফিক গার্ড। বিচারপতির নাম করে টাকা তোলেন বলেও অভিযোগ ওঠে।
সব শুনে কলকাতা পুলিশের ডিসি ট্রাফিককে সিসিটিভি ফুটেজ-সহ সমস্ত তথ্য সংরক্ষণের নির্দেশ বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। যাতে ওই অভিযুক্ত পুলিশকর্মী কোনও তথ্যপ্রমাণ বিকৃত করতে না পারেন, তার জন্য তথ্য সংরক্ষণের নির্দেশ। পাশাপাশি ঘটনায় কোনও তদন্ত চললে, তা-ও স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন বিচারপতি। আগামী ২৪ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন আইনজীবীদের বক্তব্যও শুনবেন বলে জানিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ওই ট্র্যাফিক গার্ডের (Traffic Guard) বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, গত মঙ্গলবার দ্বিতীয় হুগলি সেতু দিয়ে যাওয়ার সময় আইনজীবীর কাছে এক হাজার টাকা দাবি করেন ওই অভিযুক্ত ট্র্যাফিক গার্ড। আইনজীবী টাকা দিতে অস্বীকার করলে তার ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়ারও হুমকি দেন। বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের সঙ্গে একসময় তিনি কাজ করেছেন এই যুক্তি দেখিয়ে ওই গার্ড বলেন তাকে আইন শেখানোর দরকার নেই। আইন তার ভাল করেই জানা আছে।
আরও পড়ুন:‘বুঝতেই পারছেন, কারা…’, মেডিক্যাল পরীক্ষা করিয়ে বেরোনোর সময় চিৎকার করে ‘বেফাঁস’ শাহজাহান
আইনজীবীর অভিযোগ, বচসার পর ওই পুলিশকর্মী তার লাইসেন্সও কেড়ে নেন। আইনজীবীর কাছে ১০০০ টাকা দাবি করেন ট্র্যাফিক গার্ড। টাকা দিতে অস্বীকার করায় কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের নাম ভাঙিয়ে টাকা নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার এই ঘটনা শুনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন জাস্টিস অমৃতা সিনহা। এরপরই তাকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি