বাংলাহান্ট ডেস্ক: হাঁসখালির ধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। ক্ষোভের আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়েছে খাস মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বক্তব্য। হাঁসখালির ঘটনা আদৌ ধর্ষণ নাকি অন্য কিছু তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের উত্তরে অধিকাংশ বুদ্ধিজীবী মুখে কুলুপ আঁটলেও কয়েকজন সরব হয়েছেন প্রতিবাদে।
হাঁসখালির ঘটনা ও মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে সরব হয়েছেন তৃণা সাহা (Trina Saha) ও রণিতা দাস (Ranita Das)। দুই অভিনেত্রীই তৃণমূলের সমর্থক। আনুষ্ঠানিক ভাবে দলে যোগও দিয়েছেন। তৃণমূলের সমর্থক একাধিক বুদ্ধিজীবী যখন নীরব তখন গোটা ঘটনার নিন্দা করলেন তৃণা।
আনন্দবাজার অনলাইনকে তৃণা বলেন, তৃণমূল সমর্থক হিসাবে তাঁর কোনো বক্তব্যই নেই। তবে একজন মহিলা হিসাবে তিনি চান অপরাধীরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শাস্তি পাক। এখন দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বলেছেন না বলেছেন তা নিয়ে সবাই হইহই শুরু করে দিলে আসল তদন্ত শুরু করতে দেরি হয়ে যাবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, তিনি শুনেছেন যে নির্যাতিতা মেয়েটির লভ অ্যাফেয়ার ছিল। সেটা সকলেই জানে। এ প্রসঙ্গে তৃণা বলেন, মেয়েটির অ্যাফেয়ার থাকতেই পারে। তার মানে এই নয় যে তাঁর প্রেমিক ধর্ষণ করবে। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে অভিনেত্রী কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
তাঁর কথায়, “যাঁরা বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করেছেন তাঁরা আমার থেকে অনেক বেশি সিনিয়র। তাঁরা বিষয়টি নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছেন, আমি করিনি। তাই আমার কিছু বলা উচিত নয়।” অন্যদিকে রণিতা বলেন, নির্যাতিতা মেয়েটির বাবা এখন কোন মানসিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন সেটা কেউ কল্পনাও করতে পারবে না। রণিতার মতে, তিনি যে দলের সমর্থক হন না কেন, সবার উপরে মানুষ সত্য। তিনি চান দোষীরা শাস্তি পাক।
মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রসঙ্গে রণিতা বলেন, “কে কোন পরিস্থিতিতে, কেন কী মন্তব্য করেছেন সেটা আমরা বুঝতে পারছি না। হয়তো দিদি আরো কিছু তথ্য পেয়েছেন যার ভিত্তিতে তিনি এগুলি বলেছেন। তবে আমি নিশ্চিত একজন মহিলা হিসাবে দিদিও চান অপরাধীরা শাস্তি পাক।”