পূর্বপরিকল্পিত? কোচবিহারে শুভেন্দুর কনভয়ে ভয়ানক হামলা তৃণমূল বাহিনীর! ‘, দুষ্কৃতীদের’ তাণ্ডব দাঁড়িয়ে দেখল পুলিশ

Published on:

Published on:

Trinamool attacks Suvendu Adhikari's convoy in Cooch Behar

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজনৈতিক উত্তেজনায় ফের উত্তাল কোচবিহার। মঙ্গলবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কনভয়ে হামলার ঘটনা ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। শুভেন্দুর বুলেটপ্রুফ গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে কাঠগড়ায় তৃণমূল।

শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কনভয়ে হামলা তৃণমূলের

প্রসঙ্গত, ঘটনাটি ঘটে কোচবিহারের খাগড়াবাড়িতে। সূত্রের খবর, এর আগে কোচবিহারে পরপর তিন বিজেপি বিধায়ক আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার এসপি অফিসে ডেপুটেশন ও দলের কর্মসূচিতে অংশ নিতে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) গিয়েছিলেন। সেই কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার পথেই হামলার মুখে পড়ে শুভেন্দুর গাড়ি। এদিন ওই এলাকা থেকে শুভেন্দুর কনভয় যাবে, সেই খবর পেয়ে কালো পতাকা হাতে এলাকায় জড়ো হন তৃণমূল কর্মীরা। শুভেন্দুর কনভয় ঢোকার পরই শুরু হয় বিক্ষোভ। অভিযোগ, লাঠি ও পাথর দিয়ে তাঁর গাড়িতে হামলা চালানো হয়। পেছনের কাচ ভেঙে যায়, পুলিশি গাড়িও ভাঙচুর হয়।

এই ঘটনার পর কনভয় সরাসরি বিজেপির জেলা কার্যালয়ে চলে যায়। সেখানেই আশ্রয় নেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বিজেপির তরফে এই হামলার তীব্র নিন্দা করা হয়। বিজেপি নেতাদের একাংশের মত, ‘মুখ্যমন্ত্রীর ছাড়পত্র ছাড়া এসব সম্ভব নয়। পুলিশের সামনে এই হামলা প্রমাণ করে, বাংলায় আইনের শাসন নেই।’ শুভেন্দু অধিকারী সরাসরি অভিযোগ করেছেন, “হামলাকারীরা রোহিঙ্গা, এরা বাংলাদেশ থেকে এসেছে। পাথর ছুড়ে বুলেটপ্রুফ গাড়ির কাচ ভেঙেছে।”

Trinamool attacks Suvendu Adhikari's convoy in Cooch Behar

আরও পড়ুনঃ ‘কল্যাণ শিক্ষিত ও অভিজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব’, শুভেন্দুর মুখে কল্যাণের প্রশংসায় নতুন জল্পনা শুরু রাজ্যের রাজনীতিতে

উল্লেখ্য, এই ঘটনা শুধু একটি হামলার অভিযোগ নয়, বরং রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রতিফলন। বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট। তার আগেই বিরোধী নেতার উপর হামলার অভিযোগ রাজ্যে উত্তেজনা আরও বাড়াবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও পুলিশ এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারি মন্তব্য করেনি। তবে আজকের এই পরিস্থিতি রাজ্যের রাজনীতির আবহাওয়া যে উত্তপ্ত করেছে তা বোঝাই যাচ্ছে। এই হামলার পরিপ্রেক্ষিতে এখন বিজেপি কি পদক্ষেপ নেবে সেটাই দেখার।