বাংলাহান্ট ডেস্ক : তৃণমূল নেতার (Trinamool Congress) খারাপ প্রস্তাবে রাজি হননি। ‘শাস্তি’ স্বরূপ সেই তৃণমূল নেতার নিকৃষ্ট শারীরিক অত্যাচারের শিকার হলেন এক গৃহবধূ। ৪ বছরের পুত্র সন্তানের সামনেই চলল নারকীয় অত্যাচার। বীরভূমের বোলপুর থানা এলাকার করিমপুর গ্রামে গত শনিবার ঘটেছে এই ঘটনা।
বীরভূমে মহিলার উপর নৃশংস অত্যাচার তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতার
সামাজিক লজ্জার ভয়ে আত্মঘাতী হতে গিয়েছিলেন ওই মহিলা। সেই সময় সামনে আসে গোটা ঘটনা। নির্যাতিতা মহিলা গত বুধবার তৃণমূল নেতার (Trinamool Congress) বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন থানায়। নির্যাতিতার স্বামীর কথায়, ফিরোজ গত শনিবার কলতলা থেকে তাঁর স্ত্রীর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে গোয়াল ঘরে নিয়ে যায়। খুনের হুমকি দিয়ে সেখানে সে বেঁধে ফেলে স্ত্রীর হাত। তারপর তাঁকে ধর্ষণ (Rape) করে ফিরোজ।
আরোও পড়ুন : ব্যাঙ্ক অফ বরোদা স্পেশাল “মনসুন ধামাকা স্কিম”! থাকছে দুর্দান্ত সব সুবিধা, মিস করলেই বিগ লস
নির্যাতিতার স্বামী জানিয়েছেন, ‘আমি ভিনরাজ্যে কাজ করি। আমার স্ত্রী ও ৪ বছরের পুত্রসন্তান বাড়িতে থাকত। মাঝে মাঝে পাশের গ্রামে বাপের বাড়িতে যেতেন স্ত্রী। তখন তাঁকে উত্যক্ত করত ফিরোজ নামে এক তৃণমূল নেতা। তাঁকে লাগাতার কুপ্রস্তাব দিত ফিরোজ। এমনকী মাথায় বন্দুক ধরে তুলে নিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করেছিল সে। তাতেও সফল না হওয়ায় ধর্ষণের হুমকি দিয়েছিল ফিরোজ।’
আরোও পড়ুন : অবিশ্বাস্য! মাসে ৩ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলেই ৪.৫০ কোটি রিটার্ন! কিভাবে পাবেন? জানুন…
FIR-এ ওই মহিলা লিখেছেন, তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা ফিরোজ বন্দুকের নল তাঁর যোনিতে ঢুকিয়ে অত্যাচার করে। তারপর সে ওই বধূর নগ্ন ছবি তোলে ফোনে। হুমকি দেয় যে সে যখন ডাকবে তখনই আসতে হবে তাঁকে। নয়ত সে ভাইরাল করে দেবে মহিলার নগ্ন ছবি। সেই সময় ওই মহিলার ৪ বছরের পুত্র মাকে খুঁজতে চলে যায় ওই গোয়াল ঘরে।
গৃহবধূর অভিযোগ, ফিরোজ তাঁর পুত্র সন্তানকে বস্তা চাপা দিয়ে খুনের চেষ্টা করে তখন। সামাজিক লজ্জার ভয়ে নির্যাতিতা প্রথমে কাউকে যানাননি এই ঘটনার কথা। তারপর স্বামীকে এই কথা জানালে শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। এরপর লজ্জায় সেই গৃহবধূ আত্মহত্যা করতে যান। সেই সময় সামনে আসে গোটা ঘটনা। ওই গৃহবধূ আহত অবস্থায় ভর্তি বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে।