মালাবদল থেকে সিঁদুরদান! ক্যাম্পাসেই তৃণমূল নেতার বিয়ে, বিতর্কের শিরোনামে কাকদ্বীপ কলেজ

Published on:

Published on:

Trinamool Congress leader's college wedding sparks row

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চাকরি-কেলেঙ্কারির রেশ এখনো মুছে যায়নি। তার মধ্যেই নতুন করে বিতর্ক ঘিরে উত্তাল কাকদ্বীপ কলেজ (Kakdwip College)। অভিযোগ, কলেজ চত্বরে বসানো হয়েছে বিয়ের আসর। পাত্র তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (Trinamool Congress) নেতা অশোক গায়েন। স্থানীয় সূত্রের দাবি, অশোক বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। এবং মন্টুরাম নিজে এই কলেজের পরিচালন সমিতির চেয়ারম্যান।

কলেজ চত্বরে বিয়ে! ভাইরাল ভিডিও ঘিরে ক্ষোভ

সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে বিয়ের আসরের ভিডিও (Viral video)। ক্যাম্পাসের ভেতরেই প্যান্ডেল, মঞ্চ, অতিথি আপ্যায়ন—সব মিলিয়ে এক পূর্ণাঙ্গ অনুষ্ঠান। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই ধরনের ব্যক্তিগত আয়োজন কতটা শোভন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষক, অভিভাবক ও সাধারণ মানুষ।

বিশেষ করে যখন রাজ্যের কলেজগুলিতে বহিরাগতদের প্রবেশ ও নিরাপত্তা নিয়ে হাই কোর্ট (Calctta High Court) সতর্কবার্তা জারি করেছে, তখন এই ঘটনা একেবারে তাৎপর্যপূর্ণ। কসবা কলেজকাণ্ডের (Kasba case) পর যেখানে ছাত্র ইউনিয়ন রুম বন্ধ রাখার নির্দেশ রয়েছে, সেখানে একটি কলেজেই প্রকাশ্যে রাজনৈতিক ছাত্রনেতার বিয়ে?

অতীতেও বিতর্ক, এবার ফের বিধায়কের ছত্রছায়ায় কাণ্ড

সম্প্রতি কাকদ্বীপ কলেজে ‘অসাধু উপায়ে চাকরি (job scam)’ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের (Trinamool Congress) সাত কর্মীর বিরুদ্ধে। তখনও সরব হয়েছিল বিরোধীরা। এবার বিয়ে-আয়োজনে ফের উঠে এল বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরার নাম। স্থানীয়দের প্রশ্ন, এই কলেজ কি তবে ব্যক্তিগত প্রভাবের মঞ্চ হয়ে উঠেছে? নানা অভিযোগের কেন্দ্রে থেকেও এখনও পর্যন্ত মন্টুরাম বা অশোক কেউই মুখ খোলেননি। তবে বিরোধীদের তরফে দাবি, এটি পরিষ্কারভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার। যেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ব্যবহার করা হচ্ছে।

Trinamool Congress leader's college wedding sparks row

আরও পড়ুনঃ যারা বনধ ডাকে তারাই হাজিরা চায়? বাম সরকারের বিজ্ঞপ্তি সামনে এনে তোপ দেবাংশুর

শিক্ষাঙ্গনে এমন ‘দখলদারি’ নিয়ে প্রশ্ন (Trinamool Congress)

রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ছাত্রনেতাদের (Trinamool Congress) প্রভাব বিস্তার, দলীয় নেতার আশীর্বাদ, এবং কলেজ পরিচালনায় সরাসরি হস্তক্ষেপ—এই ঘটনাগুলি এক ভয়ানক প্রবণতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। রাজ্যের কলেজগুলির স্বরূপ বদল কি তবে অবধারিত? এই ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত কি না, তা নিয়ে এখন আলোচনা জোরদার। কারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোনোভাবেই রাজনৈতিক ‘উৎসবমঞ্চ’ হতে পারে না, এটাই বহু শিক্ষকের দাবি।