বাংলাহান্ট ডেস্ক : তৃণমূলের (Trinamool Congress) পার্টি অফিসে বসেছে গাঁজার ঠেক! প্রকাশ্যেই রমরমিয়ে চলছে গাঁজা সেবন। অভিযোগ করেছেন খোদ তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়ক। ব্যান্ডেলের ঘটনায় অস্বস্তি বেড়েছে দলের অন্দরেই। রাজ্যের শাসক দলকে পালটা কটাক্ষ শানিয়েছে বিজেপি।
তৃণমূলের (Trinamool Congress) পার্টি অফিসে অবাধে গাঁজার ঠেক চলার অভিযোগ
জানা যাচ্ছে, সোমবার ব্যান্ডেলে এক দলীয় কর্মসূচি সেরে ফিরছিলেন চুঁচুড়ার তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়ক অসিত মজুমদার। ব্যান্ডেল মোড়ের কাছে আসতেই তিনি দেখতে পান, দলের শ্রমিক সংগঠনের কার্যালয়ের সামনে গাঁজার ঠেক বসেছে। তাঁকে দেখেই কয়েকজন যুবক ছুটে পালায় সেখান থেকে।
হাতেনাতে ধরেন তৃণমূল বিধায়ক: ব্যান্ডেল পুলিশ ফাঁড়িতে ফোন করে সমস্ত ঘটনা জানন বিধায়ক। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। উপস্থিত হন ব্যান্ডেল পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান এবং অন্যান্য কর্মীরাও। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল বিধায়ক । অভিযোগ, কার্যালয়ের পাশের শিব মন্দিরেও বসে গাঁজার ঠেক। ওই পার্টি অফিস তিনি আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন পঞ্চায়েতের প্রধান এবং ন over উপপ্রধানকে।
আরও পড়ুন : ‘তাড়াতাড়ি মাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেবে’, মুখ্যমন্ত্রীকে ‘মমতা দিদুন’ বলে খোলা চিঠি ৫ বছরের খুদের
কী বললেন বিধায়ক: অসিত মজুমদার পরে বলেন, যে পার্টি অফিসে গাঁজা বিক্রি হয় তা পার্টি অফিস নাকি ধান্দাবাজদের অফিস। তৃণমূল ধান্দাবাজ হতে পারে না। তৃণমূলের পতাকার সাহায্য নিয়ে ধান্দাবাজি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ বিধায়কের। তিনি বলেন, গাঁজা বিক্রি করা লোক কখনও তৃণমূলের হতে পারে না। এই অফিস তিনি উদ্বোধন করে গিয়েছেন। কিন্তু এখানে কে মদ-গাঁজা খায় তা তিনি জানেন না।
আরও পড়ুন: নেপালের অশান্তির আঁচ এসে পড়ল বাংলায়, গুলিবিদ্ধ শিলিগুড়ির ট্রাকচালক!
এদিকে স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বলেন, বিধায়ক কার্যালয় বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ড্রাইভার,খালাসিরা বসে গাঁজা খায়। এর আগে এমন কোনও অভিযোগ ছিল না বলেও জানান তিনি। অন্যদিকে হুগলি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বলেন, জুয়া, সাট্টা, মদ, গাঁজা এসব তৃণমূল পার্টি অফিসে হবে না এটা কোনোদিন হয় নাকি! বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিধায়ক ভাবমূর্তি স্বচ্ছ রাখতে চাইছেন বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।