ভুয়ো রেশন কার্ড বানিয়ে ভালোই চলছিল ব্যবসা! ধরা পড়তেই প্রায় ৮ কোটি জরিমানা ‘তৃণমূল’ ডিলারের

বাংলা হান্ট ডেস্ক : রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) ছত্র-ছায়ায় থেকে বছরের পর বছর রেশনের খাদ্য দ্রব্য কালোবাজারে বিক্রি করেই ফুলে-ফেঁপে  উঠেছিল কালিয়াচক ব্লকের এক রেশন ডিলারের সম্পত্তি। এবার একে একে সামনে আসতে শুরু করেছে তার বিরুদ্ধে ওঠা পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগ। ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মালদহের কালিয়াচক তিন নম্বর ব্লকের ওই রেশন ডিলার তৃণমূলের (Trinamool Congress) পদাধিকারীও।

‘তৃণমূল’ (Trinamool Congress) ডিলারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

এবার রেশন দুর্নীতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধেই মোটা টাকা জরিমানা করেছে রাজ্যের খাদ্য সরবরাহ দপ্তর। সেইসঙ্গে তাকে দলের (Trinamool Congress)  পদ থেকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে। সাসপেন্ড করা হয়েছে ডিলারশিপও। জানা যাচ্ছে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া তিন নম্বর ব্লকের বৈষ্ণবনগর থানার সাহবানচক পঞ্চায়েতের মালতিপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই অভিযুক্ত ডিলারের নাম আশরাফুল ইসলাম।

 রেশন ডিলারের পাশাপাশি এই কীর্তিমান আশরাফুল ইসলাম সাহবানচক পঞ্চায়েতের তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির সভাপতি। শুধু তাই নয় একইসাথে কালিয়াচক ৩ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের সদস্য তিনি।মালদহ জেলা খাদ্য দপ্তর সূত্রে খবর দীর্ঘ প্রায় আট বছর ধরে এক হাজারের বেশি ভুয়ো রেশন কার্ড ছাপিয়ে সেই সমস্ত ভুয়ো কার্ড থেকে খাদ্যদ্রব্য তুলে তা কালোবাজারে বিক্রি করতেন এই গুণধর ডিলার।

আরও পড়ুন : ‘রাজনৈতিক..,’ জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন নিয়ে যা বললেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, তোলপাড়

রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৫ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ভুয়ো রেশন কার্ড তৈরির অভিযোগ সামনে আসতেই শুরু হয় তদন্ত। আর তদন্ত নেমেই হাতে আসে একের পর এক প্রমাণ। রেশন ডিলারের এই কালোবাজারি প্রসঙ্গে মালদহের জেলা খাদ্য নিয়ামক শাস্বত সুন্দর দাস বলেন, ‘সাহবানচকের একজনকে মোটা অঙ্কের জরিমানা করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৫ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ভুয়ো কার্ডে পণ্য তোলার অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে।’ সেইসাথে তিনি জানিয়েছেন ওই ব্যক্তিকে ৭ কোটি ৮৫ লক্ষ ৬১ হাজার ৪৪ টাকা জরিমানা করার পাশাপাশি তাঁর ডিলারশিপও বাতিল করা হয়েছে।

Trinamul Congress

যদিও শেষবার খবর অনুযায়ী রবিবার পর্যন্ত জরিমানার টাকা কোষাগারে জমা করেননি ওই অভিযুক্ত ডিলার। এদিন অভিযুক্ত রেশন ডিলার তথা তৃণমূল নেতা আশরাফুলের গ্রামে গিয়ে দেখা যায় তার পাকা বাড়ির সামনে ঝুলছে তালা।  কোথায় গিয়েছেন তার খোঁজ-ও  নেই পাড়া-প্রতিবেশীদের কাছে। এমনকি একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি আশরাফুলের তরফ থেকে।

ad

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর