বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একদিকে আরজি কর কাণ্ড, অন্যদিকে উৎসবের মেজাজ! এই দুইয়ের আবহে আগামী ১৩ নভেম্বর রাজ্যের ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। ইতিমধ্যেই ৬ আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। সেই সঙ্গেই শুরু হয়ে গিয়েছে ভোটাবাক্সে বাজিমাত করার পরিকল্পনা। এসবের মাঝেই জানা যাচ্ছে, আসন্ন উপনির্বাচনে ভোটপ্রচারে নতুন কৌশলে ঝাঁপাতে চলেছে রাজ্যের শাসকদল!
উপনির্বাচনে ভোটপ্রচারে নয়া কৌশল তৃণমূলের (Trinamool Congress)!
প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পর থেকেই রাজনৈতিক দলগুলি জোরকদমে প্রচার শুরু হয়ে দিয়েছে। তবে উৎসবের আবহে তেমন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না বলে খবর। এমতাবস্থায় তৃণমূল (TMC) ঠিক করেছে, নির্বাচনী প্রচারের ক্ষেত্রে বড় বড় জনসভার পরিবর্তে ঘরোয়া বৈঠকে জোর দিতে হবে। সেই সঙ্গেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার সারতে হবে। ইতিমধ্যেই জোড়াফুল শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফ থেকে এমন নির্দেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
জানা যাচ্ছে, নৈহাটি, মাদারিহাট সহ ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের (Assembly Bye Elections) দায়িত্বে যে নেতারা রয়েছেন তাঁদের কাছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব বার্তা পাঠিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ঘরোয়া বৈঠকের মাধ্যমে স্থানীয় মানুষদের কথা জানতে হবে। এরপর সেই বিষয়ে দলীয় প্রার্থীকে জানাতে হবে। ভোটে জয় পেলে প্রার্থী সেই সকল সমস্যার সমাধান করবেন বলে ঘরোয়া বৈঠকে আশ্বাস দিতে বলা হয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুনঃ তিলোত্তমার মা-বাবার আর্জিতে সাড়া নয়! দেখা না করেই ফিরে গেলেন অমিত শাহ
দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো হয়ে গেলেও কালীপুজো, ভাইফোঁটা, জগদ্ধাত্রীপুজো এখনও রয়েছে। ফলে এই উৎসবের মরসুমে সাধারণ মানুষ তো বটেই, তৃণমূলের (Trinamool Congress) কিছু কিছু কর্মীদের মধ্যেও খানিক গা ছাড়া ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে খবর। এমতাবস্থায় উপনির্বাচনের ভোটপ্রচারে নয়া কৌশলে ঝাঁপাতে চাইছে জোড়াফুল শিবির।
এদিকে আবার তৃণমূলের (Trinamool Congress) বহু নেতাই ৬ আসনে জয়ের ব্যাপারে বেশ আত্মবিশ্বাসী। সেই কারণে প্রচারে বিশাল আড়ম্বর মানে নেই বলেও মনে করছেন জেলা স্তরের নেতাদের একটি অংশ। তবে দরকার পড়লে রাজ্যের মন্ত্রী-সাংসদদের ভোট প্রচারে পাঠানো হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। হাড়োয়া আসনের উপনির্বাচনে নজরদারির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মন্ত্রী সুজিত বসু এবং ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিককে। হাড়োয়ার পাশাপাশি নৈহাটি আসনের দায়িত্বও রয়েছে সেখানকার প্রাক্তন বিধায়ক পার্থর কাঁধেই।