বিধানসভা নির্বাচনের আগেই রাজ্যে উঠল সবুজ ঝড়! ৭৮টি আসনেই তৃণমূলের জয়জয়কার 

Last Updated:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে আরও একবার উঠল সবুজ ঝড়। শনিবার কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) প্রার্থীরা। গতকাল এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৈরী হয়েছিল টানটান উত্তেজনার পরিস্থিতি। দিনভর কাঁথিতে তৃণমূল-বিজেপির দফায় দফায় এই সংঘর্ষের জেরে তৈরী হয় ব্যাপক উত্তেজনা। আক্রান্ত হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি।

কাঁথির সমবায় নির্বাচনে ৭৮টি আসনেই তৃণমূলের (Trinamool Congress) জয়জয়কার

ফলপ্রকাশ হতেই দেখা গেল ৭৮টি আসনেই জয়লাভ করেছে তৃণমূল (Trinamool Congress)। যার ফলে কাঁথিতে দীর্ঘদিনের অধিকারী রাজত্বের পতন ঘটেছে কাল। সবুজ ঝড়ের সামনে খাতা খুলতেই পারেনি বিজেপি। প্রসঙ্গত শনিবার কাঁথি কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন সমবায় ব্যাঙ্কের মোট ১১টি কেন্দ্রে ভোট হয়। তবে এই ৭৮টি আসনের মধ্যে আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৮টি আসনে জয়লাভ করেছিল তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। আর বাকি ৬০ আসনে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে গতকাল।

প্রসঙ্গত শনিবার সকাল সকাল ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হতেই কাঁথির জাতীয় বিদ্যালয়ে ভোট কেন্দ্রের থেকে কিছুটা দূরে তৃণমূল (Trinamool Congress) ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা। মুহূর্তের মধ্যে শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি। যার ফলে নিমেষের মধ্যে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। অন্যদিকে এই ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় রামনগর কলেজ চত্বর। এরইমাঝে চোট পান তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি। অভিযোগ, সমবায় ব্যাঙ্কের ভোট কেন্দ্রে ব্যাঙ্কের পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও নাকি বাধা দিচ্ছিল পুলিশ। এই ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়েই নাকি আক্রান্ত হয়েছিলেন অখিলবাবু।

আরও পড়ুন: ‘কাজ দিয়েই জবাব দেব’!রাজপাট হাতে নিয়েই বিরোধীদের তোপ মমতার

কাঁথিতে গিয়ে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে অখিল গিরি বলেছেন, ‘ভোটারদের বারবার হেনস্তা করা হয়েছে। আমার গায়ে হাত তুলেছে পুলিশের লোকটাই। জেরক্স কপি নিয়ে আসার জন্য ভোট দিতে দিচ্ছে না।’ অন্যদিকে বিজেপির পাল্টা অভিযোগ তৃণমূল তাঁদের ভোট দিতে বাধা দিয়েছে। একই সুর কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান তথা কাঁথি সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি গলাতেও। তিনি পাল্টা তোপ দেগে বলেছেন, ‘চোরের মায়ের বড় গলা। মানুষ নেই, জনবল নেই, ভোটার নেই। এখন পিঠ বাঁচাতে হবে। তাই শুভেন্দু অধিকারীর চ্যালারা মিথ্যে অভিযোগ করে সকাল থেকে মাঠ গরমের চেষ্টা করেছেন। হাওয়া বেরিয়ে গিয়েছে।’

Trinamool Congress

অনেকে বলছেন, তৃণমূলের এই বিপুল জয় যেন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে একটা ছোট্ট ট্রেলর। এপ্রসঙ্গে কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি পীযূষকান্তি পন্ডা বলেন, ‘মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে যে রয়েছে তা এই বিপুল জয় প্রমাণ করে। কাঁথিতে আগেই অধিকারী মিথ ভেঙে চুরমার হয়েছিল। এদিন আবারও কাঁথিতে অধিকারী রাজত্বের পতন প্রমাণিত হল।’ যদিও, বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল তাঁদের ভোট দিতে বাধা দিয়েছে।

Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর

X