বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে চলছে ২৩ পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। পায়ের তলার মাটি কিভাবে শক্ত করা যায় সেই প্রচেষ্টায় সকল রাজনৈতিক দল। অন্যদিকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অনুব্রতহীন (Anubrata Mondal) বীরভূমে (Birbhum) ২৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতে জয় পেল তৃণমূল। বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি কেষ্ট মণ্ডল এখন জেলে। তবে তার অনুপস্থিতি যেন বিন্দুমাত্রও প্রভাব ফেলতে পারেনি পঞ্চায়েতে।
ভোটের আগেই লাভপুর ব্লকে ৯টি, নানুর ব্লকে ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়লাভ করেছে শাসকদল। নির্বাচন পূর্বেই বোলপুর ব্লকে ৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল তৃণমূলের (TMC) হাতে। কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই থুপসরা, উচকরণ, নোয়ানগর কড্ডা, জলুন্দি পঞ্চায়েতে জয় তৃণমূলের। পাশাপাশি নানুরের বড়াসাওতা গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ২২ টি আসনের সবকটিতেই প্রার্থী তৃণমূলের।
সূত্রের খবর, প্রথমে ৯টি আসনে প্রার্থী দিলেও ৬টি আসন থেকে প্রত্যাহার করে নেয় সিপিএম। অন্যান্য বিরোধী প্রার্থীদের সংখ্যা শুন্য। চণ্ডীদাস নানুর পঞ্চায়েতে মোট আসন ১৯ টি আসনের সবকটিতেই প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। সেখানে মাত্র একটি আসনে প্রার্থী দিলেও পরে প্রত্যাহার করে নেয় সিপিএম।
অন্যদিকে কঙ্কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ২০ টি আসনের সবকটিতেই প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস । এখানে ৪টি আসনে প্রার্থী দিয়েও পরে ৩টি থেকে প্রত্যাহার করে নেয় বিজেপি, অন্যান্য বিরোধী প্রার্থীর সংখ্যা এখানেও শূন্য।
তবে কেবল কেষ্ট গড়েই নয়, আসানসোলের (Asansol) বারাবনি ব্লকের দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা পর্বের শেষে দেখা গিয়েছে বারাবনি ব্লকের আটটি পঞ্চায়েতে মধ্যে দুটি পঞ্চায়েত একটি পানুড়িয়া ও অন্যটি পাঁচগেছিয়া পঞ্চায়েত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছে শাসকদল।
অন্যদিকে, ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল ব্লকের ২টি গ্রাম পঞ্চায়েতে ২১টি পঞ্চায়েত আসন ও ৫টি পঞ্চায়েত সমিতির আসনেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিরোধীরা প্রার্থী দিতে ব্যর্থ হওয়ায় পঞ্চায়েত গিয়েছে শাসকদলের ঝুলিতে। সবমিলিয়ে ভোটের আগেই তৃণমূলের রমরমা।