বাংলা হান্ট ডেস্ক : গত কয়েকদিন ধরেই ‘নির্বাচনী বন্ড’ (Electoral Bond) নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই নির্বাচনী বন্ড’ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য সুপ্রিম কোর্টে জমা দিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক SBI। আর তারপর থেকেই শুরু হয়েছে নয়া বিতর্ক। শতাব্দী প্রাচীন দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের অভিযোগ, নির্বাচনী বন্ডেও কারচুপি করেছে বিজেপি। আর এবার বাংলার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং বিহার মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) এক অদ্ভুত দাবি করেছেন।
সম্প্রতি তৃণমূল এবং জেডিইউ জানিয়েছে, তাদের খাতে যে ইলেক্টোরাল বন্ড এসেছে তা কে বা কারা পাঠিয়েছে তা তাদের অজানা। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই বন্ড সংক্রান্ত কোনও তথ্যই তাদের কাছে নেই। সেই সময় মুখে কুলুপ এঁটেছিল তৃণমূল ও জেডিইউ। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ২৭ মে, তৃণমূল কংগ্রেস নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া তথ্যে বন্ডের বিষয়েও কথা বলেছিল।
সেই সময় দলটি বলে, ‘এসব বন্ডের বেশির ভাগই আমাদের অফিসে পাঠানো হয়েছে এবং ড্রপ বক্সে রাখা হয়েছে বা যারা আমাদের দলকে সমর্থন করতে চান তাদের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।’ সেই সময় দল আরও জানায়, ‘তাদের বেশির ভাগই বেনামে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাই ক্রেতাদের নাম ও অন্যান্য তথ্য আমাদের কাছে নেই।’
আরও পড়ুন : ‘আমি গর্বিত…’, BJP তে অনুরাধা পাড়োয়াল! লড়বেন লোকসভা নির্বাচন? মুখ খুললেন গায়িকা
অন্যদিকে ২০১৯ সালের ৩০ মে জেডিইউ বলেছিল, ‘১৩ এপ্রিল, ২০১৯-এ, কেউ পাটনায় আমাদের অফিসে এসে একটি সিল করা খাম দিয়েছিল, যখন এটি খোলা হয়েছিল, আমরা ১০ টাকা মূল্যের নির্বাচনী বন্ড পেয়েছি। ১ কোটি প্রতিটি। এমন পরিস্থিতিতে, আমরা দাতাদের সম্পর্কে অন্যান্য তথ্য দিতে অক্ষম।’
আরও পড়ুন : পশ্চিমবঙ্গে ভোট হবে ৭ দফাতেই, কবে কোন কেন্দ্রে? জানুন বিস্তারিত
এই প্রসঙ্গে জেডিইউ আরও জানিয়েছে, ‘আমরা জানি না এবং আমরা জানার চেষ্টাও করিনি, কারণ সেই সময়ে সুপ্রিম কোর্টের কোনও আদেশ ছিল না এবং ভারত সরকারের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি ছিল।’
JDU এবং TMC কত অনুদান পেয়েছে?
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের এপ্রিলে ১৩ কোটির মধ্যে ৩ কোটি টাকার হিসেব দিয়েছিল জেডিইউ। তবে ২০১৮ সালের ১৬ জুলাই থেকে ২০১৯ সালের ২২ মে এর মধ্যে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে প্রায় ৭৫ কোটি টাকা জমা হয়েছে তৃণমূলের কোষাগারে। তবে এই সংক্রান্ত কোনও তথ্যই তৃণমূল দেয়নি। দল জানিয়েছে, ‘SBI বন্ড ইস্যু করেছে। তাই যারা বন্ড ইস্যু করেছিল তাদের তথ্য ব্যাঙ্কের কাছে রয়েছে।’