চাকরি দেওয়ার নামে ‘প্রতারণা’, তৃণমূল যুব নেতার লাখ টাকা হাতিয়ে গায়েব দলেরই কর্মী

বাংলা হান্ট ডেস্ক : শিয়রে লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election), আর তার আগেই একটার পর একটা অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে। আর তাও কী না দলীয় কর্মীদের তরফ থেকেই। এতদিন দলীয় রেষারেষির অভিযোগ তো ছিলই আর এবার ভুয়ো নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মত অভিযোগ উঠলো তৃণমূল নেতার (Trinamool Congress) বিরুদ্ধে। অভিযোগ করলেন তৃণমূলেরই যুব সভাপতি।

ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Pargana) পাথরপ্রতিমায়। টাকা দিয়ে ভুয়ো চাকরি কিনতে গিয়ে নিজেই বিপাকে পড়ে গিয়েছেন তৃণমূল যুবনেতা পৃথ্বীরাজ তাঁতি। অবস্থা এমন যে, চাকরিতে যোগদান দিতে গিয়ে ফিরতে হল পুলিশের তাড়া খেয়ে। আর এখন নাকি তার অভিযোগ নিচ্ছেনা কোনও থানা। প্রতারিত তৃণমূলের যুব সভাপতির দাবি এর পিছনে বড় চক্র রয়েছে। অভিযোগের তীর নিজেরই দলের বিরুদ্ধে।

রায়দিঘি ব্লকের কৌতলা এলাকার যুব সভাপতি পৃথ্বীরাজ তাঁতি জানিয়েছেন, এক দলীয় অনুষ্ঠানে তার সাথে পরিচয় হয় মহেশপুরের বাসিন্দা প্রীতম কালার সাথে। দেবাংশু ভট্টাচার্য, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের মতো একাধিক তৃণমূল নেতার সাথে নিজের ছবি দেখিয়ে তার বিশ্বাস অর্জন করার চেষ্টা করে সে। এরপর হঠাৎ একদিন প্রীতমের থেকে ফোন পায় পৃথ্বীরাজ। তাকে জানায়, দলের তরফ থেকে কর্মীদের জন্য চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন : সময় মাত্র ৮৪ সেকেন্ড, এদিক ওদিক হলেই বড় বিপদ! রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার সময় বেঁধে দিল পণ্ডিতরা

তবে এই জন্য দিতে হবে ৪ লক্ষ টাকা। যার মধ্যে ১ লক্ষ টাকা অগ্রীম জমা করতে হবে এবং বাকি ৩ লক্ষ টাকা দিতে হবে চাকরি হয়ে যাওয়ার পর। প্রথমটা বিশ্বাস না করলেও পরে একটি স্ট্যাম্প পেপারে সই করে চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করেন তারা দুইজন। এরপর পৃথ্বীরাজকে NRS হাসপাতালে ডাকা হয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য। ভুয়ো ডাক্তার দিয়ে তার চেক আপও করানো হয়। তারপর যুবনেতার হাতে তুলে দেওয়া হয় নিয়োগপত্র।

আরও পড়ুন : এবার অন্যরকম প্রশ্নপত্র! মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে বড় আপডেট, কড়া সিদ্ধান্ত নিল পর্ষদ

ঘটনাপ্রসঙ্গে তৃণমূল যুবনেতা জানিয়েছেন, ‘গত ২১ ডিসেম্বর ওই নিয়োগপত্র হাতে নিয়ে চাকরিতে যোগদান করতে গেলে সুপার জানান, নিয়োগপত্রটি ভুয়ো। এর পর আমাকে বসিয়ে রেখে পুলিশে ফোন করেন তিনি। কিন্তু পুলিশ আসার আগেই আমি সেখান থেকে পালাই।’ প্রতারিতের বয়ান থেকেই জানা যাচ্ছে, পাথরপ্রতিমা ব্লকে তৃণমূলের সেক্রেটারি ছিলেন প্রীতম। শাসকদলের বেশকিছু বড় নেতা মন্ত্রীদের সাথে ওঠা বসাও ছিল তার। সেই সাথে পৃথ্বীরাজ আরও জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কোনও থানা থেকেই তার অভিযোগ নেওয়া হয়নি। এবং এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতারও হননি। পৃথ্বীরাজের ধারণা, এটা কোনও ছোটখাটো বিষয় নয়, এর পেছনে হয়ত বড় কোনও চক্রান্ত চলছে।


Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর