বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি (Abhishek Banerjee) ত্রিপুরায় পা রাখতে না রাখতেই তার উপরে নেমে এসেছিল আক্রমণ। ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে যাওয়ার পথে প্রায় বারো তেরো বার তার কনভয়ের উপর আঘাত হানেন বেশ কিছু দুষ্কৃতী। অভিষেক ব্যানার্জীর টুইটারে প্রকাশিত ভিডিও অনুযায়ী তাদের বেশিরভাগের হাতেই ছিল গেরুয়া শিবিরের পতাকা। যার জেরে অভিযোগের তীর উঠেছে বিজেপি কর্মীদের দিকেই।
এই প্রয়াস আসলে তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জিকে খুনের চেষ্টা। এবার এমনটাই অভিযোগ তুলল ত্রিপুরা তৃণমূল। প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্তমান তৃণমূল নেতা প্রকাশ চন্দ্র দাস (Prakash Chandra Das) ডিজিপি ভি এসকে চিঠি লিখে জানান, “রাস্তার দু’ধারে বিজেপির পতাকা নিয়ে দুষ্কৃতীরা জড়ো হয়েছিল। তাদের হাতে ছিল লাঠি এবং রড। যেভাবে তারা অভিষেক এবং তাঁর সঙ্গী অজিতকুমার পালের গাড়িতে হামলা চালিয়েছিল তাতে স্পষ্ট, খুনের উদ্দেশ্য ছিল তাদের।” সাথে সাথেই জেড প্লাস ক্যাটাগরীর সিকিউরিটি কভার পান অভিষেক ব্যানার্জি, তার গাফিলতি নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন তিনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অভিষেক ব্যানার্জির উপর হামলা নিয়ে ইতিমধ্যেই ভীষণ সরব তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে আবার পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির (BJP) টুইটার হ্যান্ডেল থেকে দাবি করা হয়েছে এই কান্ড নাকি ঘটিয়েছেন হিংসাবাজ তৃণমূল কর্মীরাই। এখন ফের একবার এই চিঠির ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়ে গেল ত্রিপুরার রাজনীতিতে।
প্রসঙ্গত, অভিষেকের পরে বুধবার ত্রিপুরায় পৌঁছান তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষও (Kunal Ghosh)। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিন তিনি দেখা করেন ত্রিপুরার প্রাক্তন সিপিআইএম (CPIM) সাংসদ-বিধায়ক ও শিক্ষক-সরকারি কর্মী সংগঠনের নেতা অজয় বিশ্বাসের সঙ্গে। ত্রিপুরার সিপিআইএমের অন্যতম স্থপতি হিসেবে পরিচিত অজয় বিশ্বাস, আপাতত তিনি পিডিএসের সম্পাদক। একসময় মমতা ব্যানার্জির (Mamata Banerjee) নন্দীগ্রাম এবং সিঙ্গুর আন্দোলনকেও সমর্থন জানিয়েছিলেন তিনি। তাই স্বাভাবিকভাবেই তার সঙ্গে কুনালের এই সাক্ষাতে জল্পনার জল গড়াতে শুরু করেছে।