বাংলাহান্ট ডেস্ক : ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (Democratic Party) বহু দিনের সাথী তিনি। প্রায় ২০ বছরের পুরনো সদস্য। সেই তিনিই এবার আমেরিকার জো বাইডেন (Joe Biden) সরকারের তীব্র সমালোচনা করে দল ছাড়লেন। তিনি তুলসী গাবার্ড (Tulsi Gabbard)। তুলসীই প্রথম হিন্দু আমেরিকান যিনি ২০২০ সালে বাইডেনের সঙ্গে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট (President of US) হওয়ার দৌড়ে সামিল হয়েছিলেন। কিন্তু অভিজ্ঞ জো বাইডেনের বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত প্রতিযোগিতায় অনেকটাই পিছিয়ে পড়েন। দল ছাড়ার আগে সেই তুলসীই অভিযোগ আনলেন বাইডেনের সরকারের বিরুদ্ধে।
তিনি দাবি করেন, বর্তমান সরকার বর্ণ বিচার করে কাজ করে। তাঁর এই মন্তব্য আদতে শ্বেতাঙ্গ-বিরোধী প্রতিবাদ, বিক্ষোভকে উসকানি দিচ্ছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এখানেই থামেননি তুলসী। তিনি বাইডেন সরকারকে ধনী এবং অভিজাতদের সমাজ দ্বারা পরিচালিত যুদ্ধবাজ সরকার বলেও তোপ দেগেছেন। তিনি আরও জানান, আমেরিকায় বেশিদিন এই সরকার থাকলে তা খুব শীঘ্রই গোটা দেশকে পরমাণু যুদ্ধের সামনে এনে দাঁড় করাবে।
এদিন প্রায় আধঘণ্টার একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন তুলসী গাবার্ড। সেই ভিডিওতে দলের সঙ্গে দীর্ঘ ২০ বছরের সম্পর্ক তিনি কেন ভেঙে ফেললেন, তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন তুলসী। ওই ভিডিওতে তিনি জানান, এই ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকে তিনি চেনেন না। এই দল এখন একদল যুদ্ধবাজ, কাপুরুষ এবং ক্ষমতাবানদের কুক্ষিগত। যাঁরা প্রতি মুহূর্তে আমেরিকার নাগরিকদের মধ্যে বর্ণ নিয়ে বিভাজন তৈরি করে চলেছে। আমেরিকার সাধারণ নাগরিকের স্বাধীনতাকে নষ্ট করে এরা করছে বলেও দাবি তুলসীর। এই দল আমেরিকার নাগরিকদের ঈশ্বরবিশ্বাস বা ধর্মবোধের কোনও পরোয়াই করে না। পুলিসকে অকারণে ভয় দেখানোর অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে এবং একই সঙ্গে অপরাধীদের পরোক্ষে মদত দেয়। এই রকমই একাধিক বিষয়ে জো বাইডেনের দলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন তুলসী গাবার্ড।
ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এবং তার সমর্থিত সরকারকে আক্রমণ করে তুলসী আরও বলেন, ‘এরা কখনোই সাধারণ মানুষের সরকার নয়। এই দল এবং তাদের সরকার ক্ষমতাশালী অভিজাতদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। প্রসঙ্গত এর আগেও বারাক ওবামার সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন তুলসী। সেই সময় তাঁর অভিযোগ ছিল, ওবামা সরকার মানতেই চায় না যে মৌলবাদীরাই আমেরিকার প্রধান শত্রু। এই সূত্রে বলা যায় ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্য তুলসী একটা সময় আমেরিকার আইনসভার সদস্যও ছিলেন। তুলসী গাবার্ডের এই পদক্ষেপ জো বাইডেন কে যথেষ্ট বিপাকে ফেলবে বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।