বাংলা হান্ট ডেস্ক: নয়ডার সুপারটেক টুইন টাওয়ারকে (Noida Supertech Twin Towers) গুঁড়িয়ে দেওয়া হল রবিবার। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী, রবিবার দুপুর আড়াইটা নাগাদ ভেঙে ফেলা হয় এই জোড়া ইমারতকে। তাতে সময় লাগে মাত্র ৯ সেকেন্ড। মূলত, প্রয়োজনীয় অনুমতি না নিয়েই আইনকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ২০১৩ সালে এই টুইন টাওয়ার তৈরির কাজ শুরু করেছিল প্রস্তুতকারী সংস্থা। এমতাবস্থায়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ভেঙে দেওয়া হল এই দুই টাওয়ারকে। এই প্রসঙ্গে জেনে অবাক হবেন যে, এই টাওয়ারগুলির মালিক আর কে অরোরার কোম্পানি সুপারটেককে ইতিমধ্যেই “দেউলিয়া” ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমান প্রতিবেদনে আমরা সেই প্রসঙ্গেই বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরছি।
নয়ডার টুইন টাওয়ার নির্মাণকারী কোম্পানি সুপারটেকের প্রতিষ্ঠাতা হলেন আর কে অরোরা। পাশাপাশি, তিনি আরও ৩৪ টি কোম্পানির মালিক বলে জানা গিয়েছে। এমতাবস্থায়, ১৯৯৫ সালের ৭ ডিসেম্বর তাঁর সঙ্গীদের সহায়তায় তিনি শুরু করেছিলেন এক কোম্পানি। যেটি ১২ টি শহরে রিয়েল এস্টেট প্রকল্প চালু করে। এর মধ্যে মিরাট, নয়ডা, গ্রেটার নয়ডা, দিল্লি-এনসিআর সহ সমগ্ৰ দেশের একাধিক শহর যুক্ত রয়েছে।
কোম্পানিটি ১৯৯৯ সালে খোলা হয়েছিল: প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সুপারটেক লিমিটেডের অস্তিত্বের ঠিক ৪ বছর পর ১৯৯৯ সালে আর কে অরোরার স্ত্রী সঙ্গীতা অরোরা সুপারটেক বিল্ডার্স অ্যান্ড প্রোমোটার্স প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি খোলেন। এদিকে, সেই সময়েই আর কে অরোরা তাঁর ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন সেক্টরে পা রাখার জন্য একের পর এক কোম্পানি শুরু করেন। এমতাবস্থায়, ২০০৪ সালে, নয়ডা অথোরিটি সুপারটেক কোম্পানিকে এমরাল্ড কোর্টের জন্য জমি বরাদ্দ করেছিল।
কোম্পানিটিকে ২০২২ সালে দেউলিয়া ঘোষণা করা হয়: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, সুপারটেক কোম্পানিটিকে ২০২২ সালের মার্চ মাসে ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইব্যুনাল (NCLT) দ্বারা দেউলিয়া ঘোষণা করা হয়। এদিকে, সুপারটেক নামে আর কে অরোরার একাধিক সংস্থা রয়েছে। তবে, সেগুলির মধ্যে NCLT রিয়েল এস্টেট সেক্টরে কাজ করা তথা টুইন টাওয়ার নির্মাণকারী সুপারটেককেই দেউলিয়া ঘোষণা করেছে।
ঋণের পরিমান রয়েছে ৪৩২ কোটি টাকা: এই প্রসঙ্গে একটি তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, বর্তমানে সুপারটেকের প্রায় ৪৩২ কোটি টাকার বিপুল ঋণ রয়েছে। মূলত, ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নেতৃত্বে ব্যাঙ্কগুলির একটি কনসোর্টিয়াম থেকে এই বড় অঙ্কের ঋণ নেওয়া হয়েছিল। এমতাবস্থায়, ঋণ পরিশোধ না করার জন্য ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া কোম্পানিটির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ জানায়। এরপরে, NCLT ব্যাঙ্কের ওই অভিযোগ গ্ৰহণ করে এবং সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে দেউলিয়া ঘোষণা করার নির্দেশ দেয়।