বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ইজরায়েলের জন্য আজ একটি রীতিমতো বড়দিন। প্যালেস্টাইনের সঙ্গে বিতর্ক জারি থাকলেও এবার তাৎপর্যপূর্ণভাবে বিশ্বের তৃতীয় মুসলিম প্রধান দেশের মান্যতা পেল তারা। গত মাসেই, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে নিজেদের প্রথম দূতাবাস উদ্বোধন করেছিল ইজরায়েল। এবার ইজরায়েলের বুকে দূতাবাস স্থাপন করল সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। যার জেরে একদিকে যেমন মান্যতা পাবে ইজরায়েল এবং আরব আমিরশাহির সম্পর্ক তেমনি অন্যদিকে রাজনৈতিকভাবেও এই ঘটনা ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ।
বুধবার তেল আবিব স্টক এক্সচেঞ্জ বিল্ডিংয়ে এই দূতাবাসটির উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন ইজরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজকও (Isaac Herzog)। তিনি জানান, এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। তিনি বলেন, “দুই দেশের সম্পর্কের ভিত্তিতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। ইজরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহী দুটি নবীন রাষ্ট্র। আমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য আমরা দুই দেশের সৃজনশীলতাকে পরস্পর ব্যবহার করতে পারব এবং তার মধ্যে একটি সেতু তৈরি করতে পারব।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সময় তার মধ্যস্থতাতেই আব্রাহাম অ্যাকর্ড স্বাক্ষর করে দুই দেশ। যার জেরে দুই দেশের সম্পর্ক আরও স্থিতিশীল হয়েছে। যদিও এ নিয়ে যথেষ্ট বিক্ষোভ প্রকাশ করেছিল প্যালেস্টাইন। কিন্তু একথা ঠিক যে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীকে পাশে পাওয়ায় রাজনৈতিক গুরুত্ব অনেকটাই বাড়বে ইজরায়েলের।
অন্যদিকে মুসলিমপ্রধান দেশগুলির মান্যতা পেলে আগামী দিনে মধ্যপ্রাচ্যের চিরন্তন বিরোধের ক্ষেত্রেও এর রাজনৈতিক প্রভাব থাকবে যথেষ্ট। তাই আজ সংযুক্ত আরব আমিরশাহির ইজরায়েলের দূতাবাস উদ্বোধন ভীষণই তাৎপর্যপূর্ণ একটি ঘটনা। গত মাসে আবুধাবিতে ইজরায়েলের বিদেশ মন্ত্রী ল্যাপিড (Yair Lapid) তাদের দূতাবাস উদ্বোধন করার পর আজকের ঘটনা এই সম্পর্ককে আরও বেশী মজবুত করল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও।