যুদ্ধ এবার লাগল বলে! ধুন্ধুমার চিন-জাপান, ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব, ব্যাপার টা কী?

বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের তুমুল অশান্ত এশিয়া (Asia)। চিনের (China) বিরুদ্ধে অবস্থান নিল আর একটি দেশ। না, এবার ভারত (India) নয়, বরং জাপানের (Japan) সঙ্গে এবার অশান্তি লাগার সম্ভাবনা চিনের (China)। বেজিং (Beijing) আপত্তি উড়িয়ে সুনামি-বিধ্বস্ত ফুকুশিমা পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের ‘তেজস্ক্রিয় জল’ প্রশান্ত মহাসাগরে নিষ্কাশন শুরু করল জাপান।

কী জানাল জাপান ? : ফুকুশিমা পরমাণুকেন্দ্রের পরিচালন সংস্থা ‘টেপকো’ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে পরিস্রুত করা ওই জলের একাংশ সমুদ্রে ফেলা হয়েছে। পাম্পের সাহায্যে এই প্রক্রিয়া শুরু হয় বলে জানিয়েছে জাপান। প্রায় ২০ মিনিট পরে প্রথম পর্যায় সম্পন্ন করার উদ্দেশ্যে অন্য একটি পাম্পকেও সক্রিয় করা হয়।

japan china

প্রশান্ত মহাসাগরে পড়ল জল : রাষ্ট্রপুঞ্জের পরমাণু নজরদারি সংস্থা, আইএইএ (‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি’ বা আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা) জুলাই মাসে জানিয়েছিল, ফুকুশিমা পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের তেজস্ক্রিয় জল জাপান যতখানি পরিস্রুত করতে পেরেছে, তার মান সন্তোষজনক। এ সংক্রান্ত রিপোর্ট জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদার হাতে তুলে দিয়ে ‘তেজস্ক্রিয় জল’ প্রশান্ত মহাসাগরে ফেলার ছাড়পত্রও দিয়েছিল।

তীব্র বিরোধ করে চিন : যদিও সে সময়ই চিনের তরফে তীব্র আপত্তি জানিয়ে বলা হয়েছিল, ‘‘আইএইএ রিপোর্ট সাগরে বর্জ্য জল ফেলার ছাড়পত্র হতে পারে না।’ ২০১১ সালে ভূমিকম্প এবং সুনামির জেরে বিধ্বস্ত হয়েছিল ফুকুশিমা পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র। তার পরে সেখানকার সিল করা যে ধাতব টিউবে জ্বালানি ইউরেনিয়াম থাকে, সেই টিউব বা রডগুলিকে ঠান্ডা করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল জল। তার পরিমাণ প্রায় ৫০০টি অলিম্পিক মাপের সাঁতার পুলে যত জল ধরে, প্রায় ততখানি!

আরও পড়ুন : টাকাই দেয়নি মনমোহন সরকার! চন্দ্রযান নিয়ে কৃতিত্ব দাবি করা কংগ্রেসের কেলেঙ্কারি ফাঁস

জল তেজস্ক্রিয়তা মুক্ত : প্রায় ১,০০০টি বিশেষ ধাতব কন্টেনারে ভরে রাখা সেই জলই ৩০ থেকে ৪০ বছর ধরে ধাপে ধাপে সাগরে ফেলতে চায় জাপান। তার আগে জল পরিস্রুত করে যথাসম্ভব তেজস্ক্রিয়তামুক্ত করা হয়েছে বলে আইএইএ-র কাছে দাবি জানানো হয়েছিল।

ad

Sudipto

সম্পর্কিত খবর