বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ফের একবার দুঃখে নিমজ্জিত হলো গোটা ক্রিকেট বিশ্ব। কিছুদিন আগেই মে মাসের ১৫ তারিখে গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মারা গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন কিংবদন্তি অলরাউন্ডার অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস। এবার অনেকটা সেই পথে হেঁটেই ইহলোক ছেড়ে চলে গেলেন দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি আম্পায়ার রুডি কোর্টজেন। মঙ্গলবারই আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন তিনি। রিভারসেলের কাছে দুটি গাড়ির সংঘর্ষের কারণে রুডি সহ আরও তিনজন মারা গিয়েছেন।
তার ছেলে কোর্টজেন জুনিয়র সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেছেন “তিনি নিজের কয়েকজন বন্ধুর সাথে একটি গল্ফ টুর্নামেন্টে অংশ নিতে যাবেন তা ঠিক ছিল। সেইমতো তারা সকলে ওখানে যান এবং তাদের গতকাল ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে যে তারা সেখানে আরও কিছু বেশি সময় কাটিয়েছেন।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর প্রথম প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভারতের প্রাক্তন তারকা ওপেনার বীরেন্দ্র সেওয়াগ। তিনি নিজে টুইট করে লিখেছেন যে মঙ্গল হোক উনার। তার পরিবারকেও সমবেদনা জানিয়েছেন ভারতীয় কিংবদন্তি। জানিয়েছেন ক্রিকেট মাঠের বাইরে ও তাদের মধ্যে সামান্য কিছু কথা আদান-প্রদান হয়েছে। একবার সেওবাগের কাছে। তিনি নিজের ছেলের জন্য একটি বিশেষ ব্র্যান্ডের প্যাডের ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়েছিলেন। সেওবাগ তারপর নিজেই ওই প্যাড কিনে তার ছেলেকে উপহার দেন যার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছিলেন কোর্টজেন।
Vale Rudi Koertzen ! Om Shanti. Condolences to his family.
Had a great relation with him. Whenever I used to play a rash shot, he used to scold me saying, “Play sensibly, I want to watch your batting”.
One he wanted to buy a particular brand of cricket pads for his son (cont) pic.twitter.com/CSxtjGmKE9
— Virender Sehwag (@virendersehwag) August 9, 2022
কোর্টজেন আজ থেকে ৩০ বছর আগে নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। পাঁচ বছর পরে ১৯৯৭ সালে, তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল বা আইসিসির স্থায়ী আম্পায়ারে পরিণত হন। জনপ্রিয় আম্পায়ার স্টিভ বাকনরের পদাঙ্ক অনুসরণ করে বিশ্ব ক্রিকেটে দ্বিতীয় আম্পায়ার হিসাবে তিনি ২০০টিরও বেশি একদিনের ম্যাচে এবং ১০০টি টেস্টে আম্পায়ারের ভূমিকা দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০০৩ দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ২০০৭ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওডিআই বিশ্বকাপ ফাইনালে তিনি থার্ড আম্পায়ার হিসেবে কাজ করেছিলেন। ২০১০ সালে নিজের কেরিয়ারে ইতি টেনেছিলেন তিনি।